- ক | বি | তা রোব-e-বর্ণ
- ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
গুচ্ছ কবিতা
চিত্র: অমিতাভ সেনগুপ্ত
দুপুর
সুন্দর একটি চীনামাটির কাপের মত
এই দুপুর।
মহার্ঘ সে, ব্যবহারের জন্য নয়,
তুতে – নীল, উজ্জ্বল ।
ভঙ্গুর সে, চিন্তার প্রথম আঘাতে ভেঙে যাবে
দেখতে দেখতে মেঘ করে এল
হাওয়া হয়ে উঠল চঞ্চল।
সন্ধ্যা
‘কিন্তু তুমি বলো,তুমি বলো
একমাত্র তুমিই দেখেছ
কীভাবে একটা জায়গা পুড়ে পুড়ে কালো হয়ে যায় ‘
আলোছায়া বাতাসের নীচে কবি প্রণবেন্দুর একটি শ্বাস –উদ্বেগ ও কাতরতা – তুমি বলো,তুমি বলো, দুবার বলাতেযে ঢেউ উঠেছিল, তারয়ে গেছে এখনও কোথাও, সেই শ্বাস,ঢেউ,আমি ছুঁয়ে আছি আজ সন্ধ্যায়। সে অবিনশ্বর ।
আমার ধীরতর শ্বাস,পাতার ছায়ায় আজ সন্ধ্যায়, আলোর মৃদু কম্পনে আমার মনের অমৃত আস্বাদন,তৃপ্তির ঢেউ – না,কাতরতানয়,অস্থির দ্বিরুক্তি নেই— কিছু বলছিই না আমি – এই ভাষারিক্ত ঢেউটিও কি রয়ে যাবে কোথাও ?
কত রকম শ্বাস, মরুভূমির বাতাসের, কলকাতার মানুষপোড়া শ্বাস, বা আজ সন্ধ্যার এই শান্তিজল কণাকণালেগে থাকা শ্বাস, এই শ্বাসগুলি,অনশ্বর, তারা সবাই যেন এই মনুষ্যমন অধিকৃত গ্রহে মাটির খুব কাছাকাছি একটি অদৃশ্য বাষ্পমন্ডল,আবর্তিত — কতশতাব্দীর ছোট ছোট শ্বাসগুলি ! কিন্তু কথার বাহনছাড়াআমার এই বোবা শ্বাসগুলিও কি থেকে যাবে, শ্বাসমণ্ডলে, পিন্ডহীন একটি প্রেত? যদিও এক সন্ধ্যার তৃপ্তি থেকেই তার জন্ম ?
সকাল
মেঘলা সকালে মনে হয়
পাতা রঙআকাশকে ছেয়েআছে।
পাখিস্বর,কুকুরের স্বর,
খোঁড়া বেড়ালের কান্না আছে।
পৃথিবীর গায়েমুড়ি চাদরের মত
এই স্বরাবলী ।
বহু বহু শতাব্দীর দুঃখময় শ্বাসগুলি
স্বরের উপরে,এক অন্য মণ্ডলের মাঝে
ঘোরাফেরা করে মনে হয়
অনেক তৃপ্তির শ্বাস— আলহামদুলিল্লাহ—
তারাও রয়েছে ।
ক্লিষ্ট বসুমতী, তাকে কিছুই দিইনি আমি,
একটি চারাও নয় !
কয়েকটি বাক্যের চুর্ন , কয়েকটি তৃপ্তির শ্বাস,
বিস্মিত প্রণতি।
বাক্যগুলি বড় নীচু স্বর
শ্বাস গুলি হয়ত থেকে যাবে।
❤ Support Us