- প্রচ্ছদ রচনা
- মার্চ ২৯, ২০২২
জেলেনস্কিকে বলে দিন আমি ওঁদের পিষে দেব’, হুঁশিয়ারি পুতিনের
শান্তি আলোচনার সময় রুশ অলিগার্ক রোমান আব্রামোভিচকে বিষপ্রয়োগের সন্দেহ

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামা থামার নামই নিচ্ছে না। মাসখানেক কেটে গেলেও রুশ আগ্রাসন অব্যাহত আছে। লাগাতার রুশ গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত ইউক্রেন, বার বার যুদ্ধ বিরতি চেয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইছেন জেলেনস্কি । দুপক্ষই বার কয়েকবার আলোচনা বৈঠকে বসলেও যুদ্ধ থামার কোনো রফাসূত্রই বেরিয়ে আসে নি।
আজ মঙ্গলবার আবার শান্তি আলোচনাতেই বসছে দুই দেশ। ইউক্রেনের একাধিক শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে । এই পরিস্থিতিতে যে করে হোক, যুদ্ধবিরতি চাইছে তারা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা জানিয়েছেন, ‘ন্যূনতম লক্ষ্য হচ্ছে মানবিকতার প্রশ্নগুলি তুলে ধরা । আর সর্বোচ্চ লক্ষ্য হল যুদ্ধবিরতি চুক্তি করা।’
এবারের বৈঠক নিয়ে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছে ইউক্রেন । ঠিক এমন সময়ই একটি বিষয় সামনে এসেছে যা জেনে রিতীমতো দুশ্চিন্তার ভাজ চওড়া হচ্ছে ইউক্রেনের সামরিক বিষারদদের কপালে ।
রোমান আব্রামোভিচ ।
ফাইল ফটো ।ওঁকে বলে দিন, আমি ওঁদের পিষে দেব— এভাবেই রণমূর্তি ধারণ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে হুমকি দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । মার্চের শুরুতে কিয়েভে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি ফেরাতে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচ। সেই সময় জেলেনস্কির একটি হাতে লেখা নোট তিনি পেশ করেছিলেন পুতিনের সামনে। তখনই নাকি ওই মন্তব্য করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ঘনিয়েছে।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ওই শান্তি বৈঠকের পর আব্রামোভিচের শরীরে বিষক্রিয়ার প্রভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একাধিক লক্ষণ দেখা দিয়েছিল তাঁর শরীরে। জানা যায়, রোমান এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী দু’জনের চোখ লাল হয়ে গেছিল। মুখ ও হাতের ছাল-চামড়া উঠতে শুরু করে। শরীরের একাধিক অঙ্গে অসহ্য যন্ত্রণাও হয়। যদিও বর্তমানে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। আপাতত বিপন্মুক্ত তাঁরা প্রত্যেকেই বলে খবর। যদিও ঠিক কী কারণে এই লক্ষণগুলি দেখা গিয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই জানা গেল, পুতিনের এই হুঁশিয়ারির বিষয়টি ।অনেকেই ভাবছেন, কাজটি রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সার্ভিস জিআরইউ’র কাজ এটি, যাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে নভিচক সেইনসবরি বিষক্রিয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিল ব্রিটেন।রাশিয়ার তরফ থেকে এ নিয়ে এখনো কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি, এবং তারা কোনভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তেমন প্রমাণও নেই।কিন্তু মনে হচ্ছে কেউ হয়ত শান্তি আলোচকদের কাছে একটি সতর্কবার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছে। হয়ত বলার চেষ্টা করেছে, এটা প্রাণঘাতী ছিল না, এটা কেবলই হুঁশিয়ারি।
❤ Support Us