Advertisement
  • ভা | ই | রা | ল
  • মার্চ ২৯, ২০২২

নারীদের সর্বদা রাখা হত পর্দার আড়ালে। তালিবান প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ইয়াসমিনা, আফগানিস্তানের একমাত্র অ্যাডাল্ট ফিল্মস্টার!

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নারীদের সর্বদা রাখা হত পর্দার আড়ালে। তালিবান প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ইয়াসমিনা, আফগানিস্তানের একমাত্র অ্যাডাল্ট ফিল্মস্টার!

তারকাদের বিলাসবহুল জীবনযাপন, বাইরে থেকে যতটা জৌলুসপূর্ণ মনে হয় অন্দরেও কি ততটাই শান্তির বাতাবরণ থাকে ? একজন অ্যাডাল্ট তারকার জীবনে অনেক রকমের পর্দার আড়াল থাকে। তারকাদের অনেক বিষয়েই জীবনে আপোস করে চলতে হয়। যদিও অনেকেই মনে করেন যে অ্যাডাল্ট তারকাদের জীবনযাপন হয়  বিলাসবহুল, বাস্তবটা কিন্তু ঠিক তার বিপরীত। সম্ভবত এই কারণেই অনেক অ্যাডাল্ট বা পর্ন তারকারা শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইয়াসমিনা আলি, যাঁকে আফগানিস্তানের একমাত্র ‘পর্ন স্টার’ বলা হয়, সম্প্রতি তাঁর জীবনের কথা ফ্যানদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।

ইয়াসমিনা, একজন আফগান মডেল এবং নারী অধিকার কর্মী । নিজের জীবন সম্পর্কে গুণমুগ্ধদের সামনে বলতে গিয়ে তাঁর এই পেশায় আসা এবং জীবনের নানা অনুষঙ্গ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন তিনি । এখন তিনি স্বাধীনভাবে তাঁর জীবন উপভোগ করছেন।কিন্তু একটা সময় ছিল যখন তাঁকে  তালিবানদের চরম অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়।

আফগানিস্তানে খুব কঠোর পরিবেশে ও গোঁড়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইয়াসমিনা। তাঁর জীবন বদলে যায় যখন ১৯৯০-এর দশকে তালিবানদের হাতে কাবুল দখল হয়। অল্প বয়সেই ইয়াসমিনা তালিবানদের সন্ত্রাস দেখেছিলেন।যার ছাপ তাঁর শিশুমনে ভয়ের সঞ্চার করে। ইয়াসমিনার কথায়, সে সময় বাড়ির বাইরে পা রাখলেই পুরুষের  সঙ্গে যেতে হত।  কোনও নারীকে ঘর থেকে একা  বের হতে দেওয়া হত না। মেয়েদের  সর্বদা রাখা হত পর্দার আড়ালে। ধর্ম না মানতে চাওয়া সাধারণ মানুষদের ওপর চলত বর্বর অত্যাচার। পোশাক থেকে চুল-দাঁড়ি সমস্ত কিছুই উপর থাকত তালিবানি কড়া নজর।  ঠিকমতো পোশাক না পরলেও নারী-পুরুষ উভয়কেই চরম নির্যাতন করা হত। ইয়াসমিনার বয়স যখন ৯, তখন তাঁর পরিবার ব্রিটেনে পালিয়ে যায়। নিজের মাতৃভূমি, ঘরবাড়ি ছেড়ে বিদেশভূমি চলে যাওয়া কতটা কষ্টের তা তিনি বুঝেছিলেন ছোটো বয়সেই । ইংল্যান্ডে আসার পর ইয়াসমিনার পরিচয় বদলে যায়। এখানেই তিনি পড়াশুনা শুরু করেন। কিন্তু স্কুলে স্কার্ফ পরে আসায় অন্যান্য শিশুরা তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করে। তারা জানতে চেয়েছিল- কেন এই স্কার্ফ, এর অর্থ কী? লেখা-পড়ায় খুব ভালো হওয়ার কারণে ইয়াসমিান তাঁর স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যেও বেশ প্রিয় হয়ে ওঠেন।

পড়াশোনার প্রথম ধাপ শেষ করতে না করতেই ইয়াসমিনার পরিবারের সদস্যরা তাঁর মতামতের তোয়াক্কা না করেই তাঁর বিয়ে ঠিক করে ফেলেন। তখন তাঁর বয়স ১৯ বছর । এরপরই তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরিবারের লোকেরা যখন তাঁর জীবনের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন বুঝতে পারেননি, তখনই তিনি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করেছিলেন। এখন অবশ্য ইয়াসমিনার অ্যাডাল্ট ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের কোনও আপত্তি আছে কি না সেই প্রশ্নটাও অবান্তর হয়ে গিয়েছে। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেই ইসলাম ধর্মও ত্যাগ করেছিলেন ইয়াসমিনা, তাঁর পর আর পিছনে ফিরে তাকাননি!


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!