শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
‘শিক্ষক পুলিশে’র কাজে মুগ্ধ সকলে।
কলকাতা পুলিশের সাউথ ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট প্রকাশ ঘোষ । সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাস্তার যান চলাচল সামলাছেন । কর্তব্যনিষ্ঠ অফিসার। কোনও গাড়িচালক নিয়ম ভাঙলেন কিনা সেদিকে শ্যেনদৃষ্টি তাঁর। বালিগঞ্জ আইটিআইয়ের কাছে যান নিয়ন্ত্রণ করেন। চূড়ান্ত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা ভুলে যাননি তিনি। কাজের মাঝে সময় পেলেই ফুটপাথের উপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই বছর আটের এক খুদেকে শিখিয়ে দেন লেখাপড়া। কখনও অঙ্ক, কখনও বিজ্ঞান, ইংরেজী-বাংলা। যত্ন নিয়ে শিখিয়ে দেন তিনি। তাঁর এই সামাজিকতা বোধ দেখে নেটিজেনরা মুগ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘শিক্ষক পুলিশ’। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই ।
ফুটপাথের ওপর ছোট্টো ছেলেটি তাঁর মায়ের সঙ্গে বাস করে। ছেলেটির মা একটি খাবারের দোকানে কাজ করেন। মায়ের স্বপ্ন তাঁর ছেলে লেখাপড়া শিখে একদিন মানুষের মতো মানুষ হবে। তবে সমস্যা একটাই খুদের পড়াশোনায় মন ছিল না এতটুকু। গল্পের ছলে ট্রাফিক সার্জেন্টকে সেকথা জানিয়েছিলেন ওই শিশুর মা। এক দুঃখিনী মায়ের সন্তানকে বনো করার ইচ্ছার কথা শুনে তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দেন প্রকাশ বাবু । ট্রাফিক সার্জেন্টের প্রতিশ্রুতি নিছকই কথার কথা—এমনটাই ভেবেছিলেন খুদের মা। মাত্র কয়েকদিন পরই চোখ প্রায় কপালে ওঠার জোগাড় তাঁর। একদিন তিনি দেখেন পড়াশোনায় চূড়ান্ত অমনোযোগী ছেলেই নাকি রাস্তার পাশে বইখাতা নিয়ে বসে আছে। সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ‘শিক্ষক পুলিশ’। তিনিই পড়াচ্ছেন। লিখতে দিচ্ছেন। উচ্চারণ কিংবা বানান ভুল হলে শুধরানোর দায়িত্বও তাঁরই কাঁধে। আবার হোমওয়ার্ক দিচ্ছেন। বাড়ির কাজ ওই খুদে পড়ুয়া ঠিকমতো করছে কিনা, তারও খোঁজ নেন প্রকাশ। নিত্যদিন নিজের কাজ সামলে এভাবেই তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রটিকে পড়াশোনা করিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পরনে ঊর্দি আর পায়ে গেটার্স থাকায় বসতে পারেন না। তাতেও কিছুই যায় আসে না প্রকাশের। রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই চলে শিক্ষকতা।
কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে ছবিটি শেয়ার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সামাজিক দায়িত্ব পালনকারীর ছবি ভাইরাল হতে বিশেষ সময় লাগেনি। ‘শিক্ষক পুলিশে’র কাজ মন ছুঁয়েছে নেটিজেনদের। মুগ্ধ সকলে। ট্রাফিক সার্জেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই খুদের মা-ও।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34