- প্রচ্ছদ রচনা
- মার্চ ২৩, ২০২২
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারত-বেইজিং সম্পর্কের নতুন সমীকরণ? শিগগিরি দেশে আসবেন চিন বিদেশমন্ত্রী!

২০২০-তে লাদাখে চিনা আগ্রাসনের অপ্রত্যাশিত ঘটনার পর থেকে ক্রমেই সম্পর্কের অবনতি হয়েছে দুই দেশের। এখনও টেনশন কমেনি। এই পরিস্থিতিতেই এবার দেশে আসতে পারেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের জানিয়েছে বেজিংয়ের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই কয়েকদিনের মধ্যেই নয়াদিল্লিতে আসতে পারেন। তিনি সাক্ষাৎ করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে।
অবশ্য এর আগেও দু’বার সাক্ষাৎ হয়েছে তাঁদের। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ানে চিনা আগ্রাসনের অব্যবহিত পরেই সেপ্টেম্বরে মস্কোয় সাক্ষাৎ হয়েছিল ওয়াং ই ও জয়শংকরের। পরের বছর ২০২১ সালে তাজিকিস্তানের ডুশানবে শহরে ফের তাঁদের আলাপ হয়েছিল। কিন্তু চিনের মন্ত্রী ভারতে এলে সেক্ষেত্রে যে ওই সাক্ষাতের তাৎপর্য আরও বেশি হবে, তা বলা বাহুল্য।
এমাসের গোড়াতেই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ওয়াং ই। জানিয়েছিলেন, গত কয়েক বছরে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এবার শোনা যাচ্ছে, ভারতেই আসছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। এদিকে জয়শংকরও সম্প্রতি মুখে খুলেছিলেন চিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে। জানিয়েছিলেন, ভারত চিনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্ত ইস্যু নিয়ে নিয়মিতই আলোচনা চালাচ্ছে।
২০২০ সাল থেকেই পূর্ব লাদাখে মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল হয়ে ওঠে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার এলাকাগুলিতে। সেখানেই অল্পের জন্য যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পায় পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ। তবে লাগাতার আলোচনার মাধ্যমে গতবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্যাংগং থেকে ফৌজ সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশ। এবার গোটা পূর্ব লাদাখ জুড়ে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে চিনের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর ঘিরে বাড়ছে জল্পনা ।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর থেকে ভারত নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক বারবার আলোচনার মধ্যে দিয়ে যুদ্ধ নয় শান্তির পথকেই বেছে নিতে বলেছে । ঠিক তেমনই বেইজিংও সরাসরি রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনও পক্ষকেই সার্পোট করেনি। যুদ্ধ নিয়ে ভারতের মতো চিনের অবস্থানও নিরপেক্ষ রয়েছে।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান যুদ্ধের আবহে চিনের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর বিশ্বকে এক নতুন বার্তা দিতে পারে।
❤ Support Us