- এই মুহূর্তে
- মার্চ ২২, ২০২২
রুশ বোমায় বিধ্বস্ত মারিউপোল। জলশূন্যতায় মারা যাচ্ছে শিশুরা ।
মস্কোর আত্মসমর্পণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর তিন লাখ মানুষ গভীর শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে।
রুশ সেনা ইউক্রেন আঘাত হানার পর থেকে একটার পর একটা শহরকে ধূলিসাৎ করছে । ইউক্রেন বন্দর শহর মারিউপোলের উপর আঘাত হানছে রুশ বাহিনী। কৌশলগত-ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি উপর অধিকার কায়েম করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে রুশবাহিনী। গত প্রায় দু সপ্তাহেরও বেশি সময় সময় অবরোধ করে রাখা এই শহরে অব্যাহত গোলাবর্ষণের পর গতকাল রাতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় লড়াইরত ইউক্রেনিয়ান সৈন্য এবং মরিউপোল নগর সরকারকে সোমবার মস্কো সময় ভোর পাঁচটার মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলে । পরিবর্তে শহরের বাসিন্দা এবং ইউক্রেনিয়ান সৈন্যদের দুটো নিরাপদ করিডোর দিয়ে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
কিন্তু ইউক্রেন সরকার এবং মারিউপোলের স্থানীয় প্রশাসন আত্মসমর্পণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে । সেদেশের সংবাদ মাধ্যম ইউক্রোনিস্কা প্রাভদার খবর, ‘আত্মসমর্পণের বা অস্ত্র সমর্পণের কোনো প্রশ্নই ওঠেনা।’মারিউপোল শহরের মেয়রের একজন উপদেষ্টা বিবিসিকে বলেছেন, নিরাপদে চলে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি মস্কো দিয়েছে তার ওপর বিশ্বাস করা যায়না এবং শেষ সৈন্য বেঁচে থাকা পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে।
রুশ বোমায় বিধ্বস্ত এই শহরে তীব্র জল, বিদ্যুৎ আর খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। জানা গেছে শহরটিতে এখনও তিন লাখের মত লোক আটকে রয়েছে।
আত্মসমর্পণ না করলে রুশ সৈন্যরা কী করবে তা এখনো স্পষ্ট করেনি মস্কো। মারিউপোলে রুশ সৈন্যদের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই এখন সবাই তাকিয়ে রয়েছে।মারিউপোল থেকে কোনো রকমে জীবন নিয়ে পালিয়েছেন ইউক্রেনের এক নাগরিক । রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অনবরত গোলাবর্ষণে এই শহরে যে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, মারিউপোল শহর একেবারে ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষের বাঁচার অবলম্বন আর নেই। খাবার, জলও ওষুধের তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
রেডিও ফাইভ লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিক্টোরিয়া নামক ওই ব্যক্তি বলেছেন, তিনি মারিওপল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে পালিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার শহর একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে।’ প্রত্যেকদিন রাশিয়ার গোলাবর্ষণের শব্দ শুনতে শুনতে আতঙ্কিত আমরা । প্রতি মুহূর্তে মূত্যু ভয় তাড়া করছে আমাদের। বেইজমেন্টে গিয়ে লুকিয়েও প্রাণে বাঁচতে পারছেন না জনসাধারণ। কারণ রুশ বোমায় বেইজমেন্টও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমার পরিচিত তিনজন শিশু জলের অভাবে মারা গেছে। এটি একবিংশ শতাব্দি, আমার শহরে শিশুরা জলশূন্যতায় মারা যাচ্ছে। তারা এখন ক্ষুধার্ত।’
❤ Support Us








