Advertisement
  • ধা | রা | বা | হি | ক
  • ডিসেম্বর ১৮, ২০২১

আমার ছেলেবেলা

নির্মলেন্দু গুণ
আমার ছেলেবেলা

ছবি: সংগৃহীত ।

ঢাকার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক ছিল না।  ঢাকা  সম্পর্কে আমরা প্রায় কিছুই জানতাম না।  কলকাতার কথাই জানতাম, বড়দের কাছে শুনতাম এবং গল্প উপন্যাসে, পত্রপত্রিকায় কলকাতার কাহিনি পড়তাম। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে রহস্য কাহিনীর  রচয়িতা নীহাররঞ্জন এবং স্বপন কুমার পর্যন্ত আমার প্রিয় লেখকদের সবাই ছিল কলকাতার।  বই খুললেই কলকাতা । ঢাকা থেকে প্রকাশিত কোনো বই আমাদের হাতেই পড়ত না প্রায়।  ব্যতিক্রম শুধু জসিমউদ্দীন। তাঁর লেখা ‘নকসী কাঁথার মাঠ’ এবং ‘সোজনবাদিয়ার ঘাট’ স্কুলের লাইব্রেরি থেকে এনে পড়ে ছিলাম-এই বইগুলি ছিল ঢাকা থেকে প্রকাশিত। ঢাকায় আমাদের কোনো আত্মীয় স্বজন ছিল না, ফলে ঢাকা থেকে কোনও চিঠিও আসত না আমাদের বাড়িতে।  বাবা কলকাতায় পড়তেন, মামা মাসি সহ আমাদের অনেক আত্মীয় এবং জ্ঞাতি কলকাতায় থাকতেন, প্রায়ই তাদের কাছ থেকে চিঠি আসত। বড় হয়ে কলকাতায় যাবারই স্বপ্ন দেখতাম।  ঢাকার প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি  হয়, এমন কোনো ঘটনাই ঘটত না, বরং উল্টো ঢাকা থেকে দাঙ্গার সংবাদ আমাদের কানে আসত।

ঢাকার প্রতি আমার সর্বপ্রথম আগ্রহ সৃষ্টি  হয়েছিল, ভাওয়ালের রাজাদের নিয়ে রচিত যাত্রাগানের মাধ্যমে।  ‘ভাওয়াল সন্নাসী’ পালায় একটি গান ছিল এরকম:

মামার একখান মটর গো ছিল
দেখিতে সুন্দর,
তাতে চইড়া বেড়াইতেন মামা
ঢাকার শহর
।’

ঐ গানের ভিতর দিয়েই আমি কল্পনায় ঢাকাকে  প্রথম দেখি। ঢাকাকে স্বচক্ষে দেখার ইচ্ছাটাও জাগ্রত হয়েছিল ঐ গানের মাধ্যমে; কিন্তু পরে দাঙ্গা বিক্ষুদ্ধ ঢাকার সংবাদ শুনে আমার মন থেকে ঢাকার সুন্দর ছবিটা প্রায় মুছে যাচ্ছিল। তখন আমার কৃতি  বন্ধু মতি ঢাকা সম্পর্কে  আমার মধ্যে নতুন করে  আগ্রহ সৃষ্টি  করে।  মতি পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার গ্রাহক ছিল-প্রতিদিন তার কাছে ঐ পত্রিকাটি আসত। স্কুল ছুটির পর প্রায়ই আমি মতির বাসায় যেতাম এবং  ঐ পত্রিকার পাতায় চেঅখ বোলাতাম।  মতির কাছ থেকেই আমি পত্রিকা পড়া শিখি । ঢাকা সহ সারা পৃথিবীর কোথায় কি ঘটছে মতি সে খবর রাখত- শুধু কবিতারা ব্যাপারে সে ছিল একটু দুর্বল। ওটা সে আমার ওপর কেন জানি ছেড়ে দিয়েছিল।

সে নিজে ফুটবল খেলত না কিন্তু ঢাকা ফুটবল লিগের প্রতিটি খেলার সংবাদ সে জানত। ঢাকার বিখ্যাত ফুটবলার দের কে কোন দলে খেলছে, কেমন খেলছে, কোন দলের চ্যাম্পিয়ান হওয়ার সম্ভাবনা-এসব ব্যাপারে তার তথ্যভিত্তিক  জ্ঞান ছিল। মতির সঙ্গে বন্ধুত্বের সুযোগে এই দূর মফস্বলে বসেও আমি উমর, মুসা, গফুর বালুচ, মুরাদ বক্স, প্রতাপ খামিশাদের খবর রাখতাম।  মতির প্রিয় দল ছিল ভিক্টোরিয়া- সেই সূত্রে আমারও।

কবিতার প্রতি আমার আগ্রহের কথা মনে রেখেই একবার সে আমাকে  ঢাকা থেকে প্রকাশিত  একটি কিশোর পত্রিকার ঠিকানা  সংগ্রহ করে দেয়।  পত্রিকার নাম ‘রঙধনু’-সম্পাদকের নাম জনাব মোসলেম উদ্দিন। আমি ঐ পত্রিকার গ্রাহক হওয়ার গ্রাহক চাঁদা পাঠাই এবং পত্রিকাটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকি। কিছুদিন পর আমার নামে এককপি রঙধনু আসে। পত্রিকাটি আমার বেশ পছন্দ হয়।  ঐ পত্রিকার শেষ দিকে রঙধনু আসরের সভ্য হওয়ার কুপন ছিল, আমি সেই কুপন পূর্ণ করে পাঠাই। আসরের সভ্যদের নাম, ঠিকানা ছাপা হত, সুতরাং আগামী সংখ্যায় আমার নামটি ঐ পত্রিকায় ছাপার হরপে মুদ্রিত রূপে দেখতে পাব; উত্তেজনার মধ্যে আমার দিন কাটতে থাকে। মাস ফুরিয়ে যায়, কিন্তু রঙধনু আসে না।  পোস্ট অফিসে জানালার শিক ধরে দাঁড়িয়ে থাকি,   আমার ব্যাকলতা যোগেশ পিয়ন এবং রাজ্জাক পিয়ন মুচকি হাসে। তারপর একদিন আমার ভাগ্যাকাশে রংধনুর উদয় হয়। বেশিক্ষণ খুঁচতে হয় না, উজ্জ্বল হিরক খণ্ডের মতো আমার নামটা আমার চোখে ভেসে ওঠে-ঐ তো আমার নাম। আমার সভ্যনম্বর ৫২৫ । আমি পোস্টঅফিস থেকে স্কুলে পৌঁছবার আগেই রঙধুন পত্রিকায় আমার নাম ছাপা হওয়ার সংবাদটি পৌঁছে যায়। পত্রিকাটি হাতে হাতে ফিরতে থাকে। ছাপার হরফে মুদ্রিত আমার নামের ওপর আমি যে কতো সহস্রবার চোখ বুলিয়ে অন্তরে তূপ্তি লাভ করেছি, রঙধনু সম্পাদকের তা জানাবার কথা নয়।

রঙধনুতে একটি কবিতা ছাপার জন্য আমি তখন পাগলের মতো হয়ে যাই।  নিজের কবিতার ওপর আমার ভরসা কম-যদি ছাপা না হয়? নিজের কবিতা পাঠানোর ঝুঁকি নিয়ে সময় নষ্ট করাটা হবে বোকামি- এই ভেবে, আমি বাড়ির পুরনো পত্র-পত্রিকাগুলি ঘেটে এমন একটি কবিতা খুঁজে বের করি যা সম্পাদকের জানার কথা নয়। কবিতার রচয়িতা মধুসূদন দত্ত।  মাইকেলের ঠিক কোন কবিতাটি আমি পাঠিয়ে ছিলাম, তা আমার মনে নেই, তবে কবিতাটি যে আমার ভালো লেগেছিল তা বলাই বাহুল্য। সুন্দর করে কবিতাটি কপি করে, কবিতার ওপরে নিজের নামটি ততধিক সুন্দর ও পরিস্কার করে লিখে রঙধনু সম্পরদকের ঠিকিনায় পাঠিয়ে দিয়ে পরবর্তি সংখ্যার জন্য গোপনে অপেক্ষা করতে থাকি ।

হঠাৎ একদিন পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখি আমার নামে রঙধনু সম্পরদকের একটি পত্র এসেছে। পোস্ট কার্ডে লেখা সেই পত্রখানি পাঠ করে আমি লজ্জায় মরে যাই। সম্পাদক সাহেব লিখেছেন: ‘স্নেহের নির্মলেন্দু, তুমি রঙধনুতে ছাপার জন্য মাইকেলের কবিতা পাঠিয়েছ কেন? নিজের লেখা কবিতা পাঠাও। ‘  চিঠির নিচে সম্পাদকের স্বাক্ষর। সম্পাদক  সাহেবের পাণ্ডিত্য  দেখে আমি খুবই অবাক হলাম। সম্পদকের নিজের হাতে লেখা পত্র কুব কম লেখকের ভাগ্যেই জোটে। অথচ এই পত্র প্রকাশের উপায় ছিল না। সম্পাদকের প্ত্র পাওয়ার আনন্দটা পত্রের বিষয় বস্তুর লজ্জায় একেবারে মাঠে মারা গেল।  আমি দ্রুত পত্রটিকে লুকিয়ে ফেললাম। কথা গুলোর অর্থ যত খারপই হোক না কেন, আমাকে উদ্দেশ্য করেই তো সম্পাদক সাহেব চিঠিটা লিখেছেন – এমন গুরুত্বপূর্ণ পত্রের মায়া ত্যাগ করাও কঠিন ।  বহুদিন গভীর রাতে একা একা বসে পত্রটি পাঠ করতাম।  পরে একসময সেই পত্রটি আমি নিজের হাতে নষ্ট করে ফেলি। নিতান্ত বোকা না হলে এমন পত্র কে আর সংগ্রহ করে রাখে?  ‘অগত্যা মধুসূদন’-কথাটা আমার সাহিত্য জীবনের  শুরুতে যথার্থ অর্থেই সত্য হয়েছিল। রঙধনু পত্রিকার সঙ্গে অতঃপর আমি আমার সকল সম্পর্ক ছিন্ন করি। যে পত্রিকা মধুসূদনের কবিতা ছাপে না, সে আমার কবিতা ছাপবে?

 


আমি বাড়ির পুরনো পত্র-পত্রিকাগুলি ঘেটে এমন একটি কবিতা খুঁজে বের করি যা সম্পাদকের জানার কথা নয়। কবিতার রচয়িতা মধুসূদন দত্ত।


আমার  চারপাশে ছিল গান। মাঠের চাষিরা প্রাণ খুলে গান ধরত: ও বন্ধুরে…। যে ভিক্ষুকরা ভিক্ষা করতে আসত, তারাও আসত কণ্ঠ-ভরা গান নিয়ে । রেলগাড়িতে যে সব খোঁড়া খঞ্জ বা অন্ধরা ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করত, এদের মধ্যে নেত্রকোনণারজালাল খাঁ  এবং চাঁন মিঞার গান খুব জনপ্রিয় ছিল।  দেহতত্ত্ব, আধ্যাত্মিক এবং ইসলামী গানই ছিল বেশি, তবে মাঝে মাঝে রামপ্রসাদী এবং কূর্তন ও শোনা যেত। রেল পথে মুসলমান ভিক্ষুকের সংখ্যাই ছিল বেশি।

আমাদের গ্রামের হদীসম্প্রদায়টা ছিল গানের পাগল। এদের ছেলেরা বিভিন্ন যাত্রাদলে গান গাইত। এদের প্রত্যেক বাড়িতেই গানের সরঞ্জাম থাকত। হারমোনিয়াম ছিল খুবই কম, সারা গাঁয়ে দুটো- কি তিনটে খোল, করতাল, একতারা, ঝাঁঝর, খুঞ্জুরি প্রায়ই প্রতি ঘরেই ছিল । বাঁশির তো কথাই নেই, মনে হয় বাঁশি হাতেই ওরা জন্ম নিত। বাঁশি বাজাতোও একেকজন মূর্তিমান শ্রীকূষ্ণের মতো। একটু গঞ্জিকা এবং কিছু খিচুড়ি-বাতাসার ব্যবস্থা করলেই ওরা দল বেঁধে আমাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত হত। এই হদীসম্প্রদায়ের মধ্যে একজন অতি উচ্চমানের সাধক গীতি কবি ছিলেন, তাঁর নাম ছিল বীরচরণ সিংহ। আমার ঠাকুরদা তাঁর সঙ্গীত প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে একসময় তাঁকে কিছু ভূমি দান করেছিলেন। আমার জন্মের কিছুদিন আগেই তিনি লোকান্তরিত হন। হদীসম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর গান ছিল খুবই জনপ্রিয়; এবং অন্যান্য আশপাশের গ্রামেও বীরচরণ সাধুর গান গীত হত।

হদীসম্প্রদায়ের মধ্যে লেখাপড়ার কোনো রীতি ছিল না-লেখাপড়ার ব্যাপারটা ওরা আমাদের ওপর ছেড়ে দিয়ে পরম নিশ্চিন্তে জীবন কাটাত। শুনেছি হদীদের একজন মোড়লের পুত্রে নাকি লেখাপড়া শিখতে গিয়ে এক পর্যায়ে পড়াশোনার চাপে অসুস্থ হয়ে পড়ে, অনেক চিকিৎসা করে ও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।  তাদের ধারণা, লেখাপড়ার চাপে পড়েই ছেলেটির অকাল মৃত্যু হয়েছিল- সেই থেকেই এই সম্প্রদায়ের মধ্যে লেখাপড়া প্রায় নিষিদ্ধ হয়ে যায় । আঙুলের টিপসইতেই যেখানে কাজ হয় সেখানে মনুষ্য-সৃষ্ট বর্ণমালার কাছে নতিস্বীকার করার কোনো মানে আছে, না প্রয়োজন আছে? প্রয়োজন যে নেই ত বীরচরণ সাধুর গান শুনেই বুঝতে পারতাম। বীরচরণ লেখাপড়া জানতেন না, কিন্তু তার লেখাপড়া না জানাটা তার ঐ শ্রেষ্ঠ গানগুলো রচনার ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি  করতে পারেনি। প্রাচীন কালের শ্রেষ্ঠ কাব্যসমূহ কিভাবে রচিত হয়েচিল, এবং চারপাশের অনুরাগী ভক্তদের স্মৃতি পথ ধরে  পরবর্তী কালের মানুষের কাছে এসে কিভাবে পৌঁছে—তার নিদর্শন পাওয়া যেত বীরচরণের গানে। বীরচরণের বেশ কিছু গান আমার সংগ্রহে আছে। তার রচিত যে গানটি গেয়ে হদীরা আসর শুরু করত, সেই বন্দনা গীতিটি ছিল এরকম:

আমি ডাকি তোমায় বিনয় করে
আইসো প্রভু এই আসরে।
তুমি আসিলে আনন্দ হবে
নিরানন্দ দূরে যাবে।
  ‘

এই প্রভু যে গৌরাহ্গ মহাপ্রভু, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কতরকম ভাবে এই কথা কটি যে গিত হত, মনে হত রাত্রির নিজর্নতাকে ওরা সঙ্গীতের সুরে বন্দী করেছে।  আমাদের চৈতন্যকে ফাঁকি দিয়ে রাত্রি গড়াতো ভোরের দিকে। ওদের গান থেমে যাওযার পর মনে হত আমরা ভক্তিরসের সুধাসাগর থেকে ছিটকে পড়েছি এক নগ্ননির্জন নিষ্ঠুর পৃথিবীতে। আমার খুব ইচ্ছে হতো আসরে বসে ওদের সঙ্গে গলা মেলাই, কিন্তু একে তো আমার বেসুরো গলা  মিলত না, দ্বিতীয়ত, ওরা ছোটো-বড়ো নির্বিশেষে সবাই মহাপ্রভুর সিদ্ধি সেবন করত, এর মধ্যে কোনও বাচবিছার ছিল না । আমার সঙ্গীত প্রীতি পাছে আমাকে সিদ্ধি সেবনে উৎসাহিত করে,  সেই ভয়ে গুরুজনরা ওদের সঙ্গে আমাকে আসরে বসতে দিতেন না—বারান্দায় বসেই গান শুনতে হত।  আমার শোনা বীরচরণ সাধুর তিনটি গান এখানে উদ্ধৃত করছি:

ক.

আমায় আর কতোদিন মায়াডোরে রাখিবেন হরি।
ওগো সুখে কিংবা দুখে, স্বর্গে কি নরকে
যেখানে যেভাবে থাকি—
শুধু ভক্তি ডোরে, তব পদনীড়ে, বাঁধা থাকে প্রাণ পাখি  ।

ও মরিলে ও মরিলে  যেন ভুলি না তোমায়
আমার স্থান থাকে যেন শ্রীপাদপদমূলে।
পাখি আমার আমার বুলি ছাড় হে,
ও পাখি বল সদায় হরি হরি।

খ.

আয়রে ও ভাই হরি গুণ গাই
এমন শুভদিন আর হবে না রে ভাই।
এলো দুটি ভাই গৌর-নিতাই
এমন দয়াল আর জগতে কেহ নাই।
তারা করে হরির ধ্বনি, মধুর মধুর শুনি
আজ কেন ওরে হৃদয় গলে যায়।

লেগেছে হূদয়ে প্রেমের তুফান
ঘুচে যাবে মোর মায়া মোহ জ্ঞান।
তুমি ধরনিতাইয়ের পায়ে পড়ি হে ডরাই
তবে দয়া করবেন দয়াল নিতিই।

না জেনে মেরেছ নিতাইযের মাথায়
কি জানি কি হবে নাহিরে উপায়।
বীরচরণের প্রাণ কাঁদে অবিরাম
দেখিতে বাসনা গৌর নিতাই।
হরিবোল, হরিবোল, হরিবোল—

গ.

যদি দীনকে দয়া হয় হরি দীন দয়াময়
হরি হে, অতি অকাতরে, পশুপঙ্খী কিম্বা নরে
আমি জন্ম নিব বারে বারে,
কেবল এসে যদি পাই তোমারে
তবে আমার হয়।

হরি হে, আমি চাই না শক্তি, চাই না জীবের পরমমুক্তি,
কেবল তোমার চরণের প্রতি ভক্তি যদি রয়;
হরি হে দীনদয়াময়।

হরি হে ও সে আসবে সমন, কারে দিবে প্রেমালিঙ্গন?
শূন্যতূল্য হবে জীবন-মরণ।
তোমার চরণ বিনে অন্য আশা নাই, আশা নাই—
কেবল প্রেম সাগরে হয় মগন রয় যেন হৃদয়।

উল্লেখিত প্রতিটি গান ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে গীত হয়—কিন্তু কখনও পুনরাবৃত্তি  ত্রূটি শ্রোতাকে পীড়িত করে না। কথা ও সুরে মিলে এমনই এক ইন্দ্র জাল সৃষ্টি  হয় যে, শ্রোতা চিত্ত ভক্তি ভাবের এক উচ্চস্তরে পৌঁছে যায়। না শুনলে, লিখে তা কাউকে বোঝানো যাবে না।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!