Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • এপ্রিল ৪, ২০২২

শ্রীলঙ্কায় কোণঠাসা চিনপন্থী রাজাপক্ষে।ফাঁদে পড়ে প্রেসিডেন্ট, সরকারে যোগ দিক সব রাজনৈতিক দল ।

প্রধানমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রির ইস্তফা, সঙ্কটের পেছনে কে?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
শ্রীলঙ্কায় কোণঠাসা চিনপন্থী রাজাপক্ষে।ফাঁদে পড়ে প্রেসিডেন্ট,  সরকারে যোগ দিক সব রাজনৈতিক দল ।

বেনজির অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি পড়ল দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা । ভারতের অন্যতম প্রতিবেশী। একসময় দুদেশের সম্পর্ক ছিল মধুর । রাজাপক্ষে চিনের দিকে ঝুঁকে পড়লে দূরত্ব তৈরি হয় । চিন ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে । শাসককে বাঁচাতে বেইজিং-এর ভূমিকা অপ্রতুল নয়। তবু শাসক বিরোধী হাওয়া হঠাৎ তুঙ্গে উঠল। রাস্তায় নামল ছাত্ররা। জরুরি অবস্থা জারি করেও রেহাই নেই । তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল প্রশাসনিক ব্যবস্থা । গতকাল একসঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগের পর আজ প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে সব রাজনৈতিক দলকে  সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, উদ্ভুত সঙ্কট থেকে দেশেকে বের করে আনতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তার জন্য  নাগরিকদের এক হয়ে কাজ করতে হবে । তাঁর আহ্বানে এখনও কেউ সাড়া দেন নি।

রাস্তায় সেনা । রাতদিন কার্ফু । ব্যাপক ধরপাকড় । এরই মধ্যে একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন মন্ত্রিসভার সব সদস্য। হঠাৎ এত অশান্তির কারণ কী ? নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবূদ্ধি ? না, কূত্রিম উপায়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দেওয়ার ‘চক্রান্ত’? সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে দেশে-বিদেশে জল্পনার শেষ নেই। চিন পন্থীদের অভিযোগ, বহিরাগত শক্তি রাজাপক্ষেকে হঠাতে চায় । কূটনৈতিক মহলের সায় নেই এই অভিযোগে। তাঁদের অনুমান, করোনাত্তোর পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ। দ্রব্যমূল্য আগুন ছোঁয়া। এটাই সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রধান উৎস ।

শ্রীলঙ্কা ইতিপূর্বে কখনো এইরকম অর্থনৈতিক সহ্কটের মুখে পড়েনি। এক কেজি চালের দাম যেখানে ৪০ থেকে ৬০ টাকা হওয়ার কথা, এখন তা হঠাৎ বেড়ে দাঁড়াল ২২০ টাকা। গম বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি দরে। এদিকে চিনি বিকোচ্ছে ২৪০ টাকা কেজিতেএকটা ডিমের দাম ৩০ টাকা। অগ্নিমূল্য প্রতিটি পণ্যে । ভোজ্য নারকেল তেলের দাম আরও বেশি, লিটার প্রতি ৮৫০ টাকা। এক কেজি গুড়ো দুধ ১৯০০ টাকা। অত্যাবশ্যকীয় ওষুধও হাতের বাইরে । ১৪০ টাকা এক পাতা প্যারাসিটামল ।ফেব্রুয়ারি মাস থেকে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে । শুক্রবার থেকে আচমকা আরোও বেড়ে যায়। রাস্তা থেকে রাস্তায় গণবিক্ষোভে ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্টের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখেই প্রশাসন তড়িঘড়ি জরুরি অবস্থার ঘোষণা করে। কার্ফু চলছে ।

গণবিক্ষোভের চাপে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মন্ত্রিসভার সব সদস্য পদত্যাগ করেছেন । রটে যায় প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজপক্ষে ইস্তফা দিয়েছেন। সে খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের কাছে ইস্তফা জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষে। প্রধামমন্ত্রী ক্ষমতা ছাড়েন নি ।রাজাপক্ষেরা চিন ঘনিষ্ঠ । তাঁদের বিরুদ্ধে আইন ভেঙে বেইজিংকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তামিল জঙ্গিদের দমন করেও নৈতিক বিভ্রান্তি ও ভুল পররাষ্ট্র নীতির কারণে, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তাঁর ভাই বিপাকে পড়েছেন। মুদ্রাস্ফীতি বিপদ বাড়িয়ে দিল। পরিস্থিতির আরোও অবনতি হতে পারে। ভারত খাবার পাঠাচ্ছে। ঋনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। এরকম বহিরাগত সাহায্য আভ্যন্তরিন সঙ্কটকে রুখতে কতটা সক্ষম হবে এই নিয়ে সন্দেহ আছে।

 


  • Tags:
❤ Support Us
Advertisement
2024 Debasish
Advertisement
2024 Debasish
Advertisement
error: Content is protected !!