Advertisement
  • বি। দে । শ
  • জুন ৬, ২০২৪

বিশ্বজুড়া করুণ চিত্র,পাঁচের নীচেই অপুষ্টি ! রিপোর্ট ইউনিসেফের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিশ্বজুড়া করুণ চিত্র,পাঁচের নীচেই অপুষ্টি ! রিপোর্ট ইউনিসেফের

সারা বিশ্বে প্রতি চার জনের একজন পাঁচ বছরের নীচে থাকা শিশু চরম খাদ্যাভাবে ভোগে – এমন বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফ। যার অর্থ গোটা দুনিয়ার মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১৮০ মিলিয়নের ওপরের মানুষের ভবিষ্যতের বৃদ্ধি ও বিকাশ   ব্যহত হচ্ছে ।
বুধবার দেরিতে প্রকাশিত ইউনিসেফের একটি নতুন প্রতিবেদনের প্রধান লেখক হ্যারিয়েট টরলেস এএফপিকে এই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ যুগে দাঁড়িয়ে এমন মর্মান্তিক তথ্যও আমাদের কাছে আসছে , যেখানে আমাদের কি করণীয় তা  আমরা খুব ভালোভাবেই জানি ।
ইউনিসেফ সুপারিশ করে যে ছোট বাচ্চারা প্রতিদিন আটটি প্রধান গ্রুপের পাঁচটি খাবার খেতে পারে — মায়ের দুধ; শস্য, শিকড়, কন্দ ও কলা জাতীয় ফল; ডাল, বাদাম এবং বীজ; দুগ্ধ; মাংস, মুরগি ও মাছ; ডিম; ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ফল ও সবজি; এবং অন্যান্য ফল ও সবজি।
কিন্তু প্রায় ১০০টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বসবাসকারী পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪৪০ মিলিয়ন শিশু তাদের দৈনন্দিন খাদ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । অর্থাৎ এরা এই পাঁচটি গ্রুপের  খাদ্যের উপভোক্তার তালিকায়  নেই।
ইউনিসেফের প্রধান ক্যাথরিন রাসেল জানিয়েছেন,  যে শিশুরা প্রতিদিন মাত্র দুটি খাদ্য গ্রুপ গ্রহণ করে — উদাহরণস্বরূপ, ভাত ও সামান্য দুধ ;তাদের ভবিষ্যতে  মারাত্মক  অপুষ্টিতে ভোগার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি রয়েছে।
টরলেসের মতে, এই অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের না হয় শারীরিক উন্নতি, না ঘটে মানসিক উন্নতি। ফলে এরা স্কুলেও সবার থেকে পিছিয়ে পড়ে।  পরবর্তীকালে বয়স বাড়ার সঙ্গে তারা যখন উপযুক্ত আয়ের রাস্তা খোঁজে , তখন তারা বাধ্য হয় নিম্ন মেধা ও নিম্ন আয়ের কাজ করতে। ফলে দারিদ্র্য তাদের বংশপরম্পরায় মিশে যায়।
শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, মগজ থেকে শুরু করে হার্ট , সবকিছুরই দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল অর্থাৎ খনিজ পদার্থ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
তথ্য বলছে,বিশ্বের প্রায় ২০ টি দেশের শিশুরা এই খাদ্যাভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। যথা- সোমালিয়া(৬৩ শতাংশ শিশু এই সমস্যার সম্মুখীন), গায়ানা (৫৪%), গায়ানা- বিসসউ(৫৩%), আফগানিস্তান (৪৯%)। ধনী দেশগুলির তথ্য বিশেষ মেলেনি। সাম্প্রতিক কালে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ চলাকালীন গাজাতেও এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেখানে প্রতি ১০ শিশুতে ৯ জোন এ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
ইউনিসেফ এর জন্য দায়ী করেছে, বাজারজাত পানীয়, যেখানে চিনির ভাগ অত্যন্ত বেশি এবং প্যাকেটজাত খাদ্য । টরলেস জানিয়েছেন, এ ধরণের খাবার আপাত সস্তা । কিন্তু ক্যালোরির মাত্রা অত্যন্ত বেশি। এগুলি অতিরিক্ত এনার্জি, অতিরিক্ত চিনি, অতিরিক্ত ফ্যাট সম্বলিত খাবার। এগুলি পেট ভরালেও , খিদে মেটালেও , পুষ্টির  ভাঁড়ার শূন্যই রাখে। উল্টে এসবে অল্প বয়সেই স্থুলতা বা  ওবেসিটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!