Advertisement
  • দে । শ
  • ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩

আবাস বাঁচাতে ‘ডাকু’ পঞ্চমের আমরণ অনশন।শতায়ুর গান্ধীবাদী লড়াইয়ে সামিল পুত্র সন্তোষ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আবাস বাঁচাতে ‘ডাকু’ পঞ্চমের আমরণ অনশন।শতায়ুর গান্ধীবাদী লড়াইয়ে সামিল পুত্র সন্তোষ

রত্নাকর ব্রহ্মার বরে বাল্মীকি হয়েছিলেন, দস্যুবৃত্তি ছেড়ে রামায়ণ লেখার জন্য হাতে তুলে নিয়েছিলেন কলম। ভোপালের পঞ্চম সিং বাল্মীকির থেকে কোনো অংশে কম যান না। শতায়ু প্রাক্তন জলদস্যু নিজের বাড়ি বাঁচাতে মধ্যপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে দিয়েছেন আমরণ অনশনের ডাক । এককালের দস্যুর গান্ধীবাদী এ লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন তাঁর পরিবারও।

ভোপাল থেকে কিছু দূরে অবস্থিত লাহারে ‘ডাকু’ পঞ্চমের বাসভবন। সম্প্রতি, লাহার পুরসভা তাঁকে তাঁর বাড়ি ছেড়ে দিতে বলে একটি নোটিশ পাঠায় । কারণ তাঁর বাড়ির পিছনের জায়গায় একটি শপিং কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। যার সম্প্রসারণের জন্য পঞ্চম সিং-এর বাড়িটিকে ভাঙতে হবে। তীব্র আপত্তি জানান প্রাক্তন দস্যু। প্রতিবাদে পুরসভার বিরুদ্ধে অনশনে নেমেছেন। তাঁর পুত্র সন্তোষ সিং জানাচ্ছেন, বাড়ি রক্ষা করতে বাবা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি প্রাণ দেবেন কিন্তু বাড়ি ছাড়বেন না। উল্লেখ্য, একটি ধর্মীয় সংগঠনকে ৩৫ বছর আগে বাড়ি দান করেছিলেন পঞ্চম। কিন্তু তাঁরা সময় মতো বাড়ির মালিকানা না নেওয়ায় আজ বিপদের মুখে বৃদ্ধ পঞ্চম ও তাঁর পরিবার।

মধ্যপ্রদেশের চম্বল উপত্যকা দস্যুবৃত্তির জন্য ষাট সত্তরের দশকে কুখ্যাত ছিল। ডাকু পঞ্চম সিং ছিলেন এলাকার ত্রাস। তাঁর নেতৃত্বে ছিল ৫০০ জনের একটি দল। বহু খুন-ডাকাতি লুন্ঠনের নায়ক জীবনে ১২৫ জনকে হত্যা করেছেন। তার মধ্যে নেতা-বিধায়করাও আছেন। আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে, ১৯৭২ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে তিনি আত্মসমর্পণ করেন, তখন তাঁর কাছে থাকা মোট লুণ্ঠিত দ্রব্যের মূল্য ছিল ২ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি মাত্র শর্তেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি।আর্জি ছিল তাঁকে যেন কোনোমতেই ফাঁসি না দেওয়া হয়। যাই হোক, মুক্তি পেয়ে আধ্যাত্মিক প্রচারকার্যে নিজে কে নিযুক্ত করেন ‘ডাকু’ পঞ্চম।


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!