Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩

কসবায় সিলভার পয়েন্ট স্কুল -এর ৫ তলা থেকে পড়ে দশম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু। শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে মানসিক পীড়নের অভিযোগ, মৃতের পরিবারের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কসবায়  সিলভার পয়েন্ট স্কুল -এর ৫ তলা থেকে পড়ে দশম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু। শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে মানসিক পীড়নের অভিযোগ, মৃতের পরিবারের

কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুল -এর ৫ তলা থেকে পড়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্র শেখ শান-এর মৃত্যু। মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগ, “যদি ৫ তলা থেকে তাঁর ছেলের পড়ে মৃত্যু হবে তাহলে তার ছেলের হাত-পা ভাঙেনি, মাথা ফাটেনি কেন? শুধু মৃতের কান এবং মুখ দিয়ে রক্ত বার হয়েছে। আমার ছেলেকে দুটো প্রজেক্ট-এর একটি জমা দিতে না পাড়ার জন্য, পাঁচ তলায় নিয়ে গিয়ে দুই শিক্ষিকা প্রচন্ড মারধর করেছে। এর ফলেই আমার ছেলে মারা গেছে। আমায় স্কুল থেকে ফোন করে বলা হয় সিঁড়ি থেকে আপনার ছেলে পড়ে গেছে। আমি আসার পর বলছে পাঁচতলা থেকে আমার ছেলে পরে গেছে, তাকে মুকুন্দপুর এএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি হাসপাতালে এসে শুনলাম আমার ছেলে মারা গেছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমার ছেলেকে স্কুল থেকে মেরে ফেলা হয়েছে।”

মৃত ছাত্রের বাবা পূর্ব যাদবপুর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছেন। এর আগে মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, “আমার ছেলের ১৬ বছর বয়েস, তাকে প্রথমে ক্লাসে দুটো প্রজেক্ট-এর একটি জমা দিতে না পারে অপমান করা হয়েছে। তার পর অন্য ছাত্রের সঙ্গে আমার ছেলেকে পাঁচতলায় নিয়ে গিয়ে বাকি ছাত্রদের চলে যেতে বলেন দুই-শিক্ষিকা। তারপর এক ছাত্র আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচতলায় ছিল, তখন ওই  দুই শিক্ষিকা আমার ছেলেকে প্রচন্ড মারধর করেছে। আমায় আমার ছেলের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু একথা বলেছে। আসলে করোনার সময় যখন স্কুলের ফিস বৃদ্ধি হয় তখন আমি অন্য অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন প্রধান শিক্ষিকা আমায় বলেছিলেন, ‘ইউ আর আইডেন্টিফায়েড।’ তার পর থেকে আমার ছেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হতো। আমি প্রধান শিক্ষিকাকে তার পর বলেছিলাম, আমি হাতজোড় করে মার্জনা চাইছি, আমার ছেলেকে এর জন্য কিছু বলবেন না। শেষ পর্যন্ত আমার ছেলেকে শিক্ষিকারা মেরেই ফেললেন !”

এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রকে মুকুন্দপুর এএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় স্কুলের তরফে। তবে বাড়িতে খবর যাওয়ার পর মৃত ছাত্রের পরিবারের লোকজন এবং অন্য অভিভাবকরা হাসপালাতে পৌঁছে দাবি করতে থাকেন অভিযুক্ত শিক্ষিকারা হাসপাতালে রয়েছে, তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দিতে হবে। পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ বিশাল পুলিশ বাহিনী হাসপাতালে আছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!