Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩

রাজ্যে নয়া ভাইরাসের বলি ১১ শিশু। পরিস্থিতি সামলাতে তৎপর স্বাস্থ্য ভবন।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রাজ্যে  নয়া ভাইরাসের বলি ১১ শিশু। পরিস্থিতি সামলাতে তৎপর স্বাস্থ্য ভবন।

চিন্তা ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস। রাজ্যের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। ইতিমধ্যে, একাধিক শিশু ভাইরাসের শিকার হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা।

কোভিড আতঙ্ক কাটিয়ে ছন্দে ফিরছিল কলকাতা সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ। এমন অবস্থায়, হাজির নতুন ভাইরাস অ্যাডিনো। তবে এখনো পর্যন্ত এ ভাইরাসের দ্বারা শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। বড়োদের আক্রান্ত হওয়ার খবর আপাতত নেই। রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে ১১ জন শিশু নয়া ভাইরাসের শিকার হয়ে মারা গেছে। অধিকাংশের বয়স দুই বছরের মধ্যে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর, সর্দিকাশি নিয়ে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ যে,হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের শয্যা হোক বা পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু) সমস্ত জায়গাতেই ভিড় অসুস্থ শিশুদের।

রবিবার সকালে বিসি রায় হাসপাতালে ছমাসের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়ার কারণ হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছে সিভিয়ার নিউমোনিয়া ও রেস্পিরেটরি ফেলিয়োরের কথা। তবে, অ্যাডিনো ভাইরাস ছিল কিনা তা পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসকরা। তাঁর পর এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত,  কয়েকদিন ধরে  বেড়ে চলেছে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ এবং বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রকোপ লক্ষ করা গিয়েছে।

বেশ কয়েকমাস ধরে এই ভাইরাসের শিকার হচ্ছে শিশুরা। পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ফুসফসের সংক্রমণ। উপসর্গ হিসেবে রয়েছে,জ্বর-সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, চোখ লাল হওয়া। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ভাইরাসের দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শ্বাস যন্ত্র ও শ্বাস নালি। প্রথমে কদিন সাধারণ উপসর্গ গুলোথাকলেও ধীরে ধীরে তা শ্বাসজনিত কষ্টে পরিণত হচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, বড়োদের কারোর এমন কোনো উপসর্গ থাকলে সংক্রমণ আটকাতে বাচ্চাদের তাঁদের থেকে দূরে রাখতে হবে।

অ্যাডিনো ভাইরাস চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য কর্তাদের কপালে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশিকা  জারি করা হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতালে কতজন শিশু শ্বাস জনিত সংক্রমণের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য যেন জানানো হয়। শিশুরোগী মারা যাওয়ার সংখ্যা, পিকুতে ভর্তি শিশুর সংখ্যা কত, নিকু (নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট), এসএনসিইউ (সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট) কিংবা সিসিইউ-তে কত জন রয়েছে সে ব্যাপারে বিশদ তথ্য এক প্রতিবেদন দিতে হবে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে স্বাস্থ্য দফতর। অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ, বাচ্চার ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোন লক্ষণ প্রকাশ পেলে তাঁকে বাবা-মা রা যেন পর্যবেক্ষণে রাখেন। পরিস্থিতি গুরুতর হলে দ্রুত নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!