- এই মুহূর্তে দে । শ
- আগস্ট ২৮, ২০২৪
বিজেপির ডাকে বন্ধ ঘিরে অশান্তি। ভাটপাড়ায় চলল গুলি, গ্রেফতার বিজেপি নেতা সজল ঘোষ, লকেট, শমীক, রাহুল
বিজেপি–র ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বন্ধকে কেন্দ্র করে অশান্ত রাজ্য। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বন্ধের সমর্থনে বিজেপি নেতা ও সমর্থকরা রাস্তায় নামলে পুলিশ ও তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে। অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে।
বিজেপি–র ডাকা বাংলা বন্ধে জেলায় জেলায় তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। একদিকে যেমন বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। তেমনই জনজীবন সচল রাখতে অতিসক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায় পুলিশকে। তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরাও বন্ধের বিরোধিতায় রাস্তায় নামেন। কলকাতার বাগুইহাটিতে বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল হয়। পুলিশ বারবার মিছিল বন্ধ করার অনুরোধ জানায়। অনুরোধ অপেক্ষা করেই মিছিল করতে থাকেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
সকাল ১০টা নাগাদ শ্যামবাজারে পথ অবরোধের চেষ্টা করে বিজেপি। প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা–সহ একাদিক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেক্টর ৫–এ গ্রেফতার করা হয় রাজ্যসভার সাংসদ এবং রাজ্য বিজেপি প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে। গড়িয়াহাটে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে আটক করেছে পুলিশ।
বন্ধকে ঘিরে সবথেকে বেশি অশান্ত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়। চলল গুলি। ব্যাপক বোমাবাজিও হয়েছে। দলবল নিয়ে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের মুখোমুখি হয়ে যান তৃমমূলের নেতা সোমনাথ শ্যাম। দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ বাধে। হাতাহাতিও হয়। মিছিলে আসার সময় বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুস্কৃতীরা। ৬ থেকে ৭ রাউন্ড গুলি চালান হয়। সেই গাড়িতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী ছিলেন। একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে।
অন্যদিকে, শিয়ালদহর কোলে মার্কেটে বিজেপি–র সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপি কর্মীরা জোর করে দোকান বন্ধ করতে গেলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে। অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। পরে লালবাজারে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। হাওড়া ময়দান চত্বরে বিজেপির মিছিল ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। হাওড়া পঞ্চানন তলায় বিজেপি কর্মীরা জোর করে দোকান বন্ধের চেষ্টা করলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বাধা দেন। বিজেপি কর্মীরা রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ জোর করে তাদেরকে সরিয়ে দেয়। কমপক্ষে ১৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেলায় জেলায় বন্ধ ঘিরে অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। বন্ধ ব্যর্থ করতে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল হয়। নদিয়ার চাকদায় বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেয় তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় বাসের চাকার নীচে শুয়ে প্রতিবাদ জানায় বিজেপি কর্মীরা। পশ্চিম বর্ধমানের বেনাচিতিতে আক্রান্ত হন বিধায়ক লক্ষণ ঘোরুইসহ একাধিক বিজেপি কর্মী। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দেগঙ্গায় বিজেপি–তৃণমূল ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। হাওড়ার পঞ্চাননতলায় পুলিশ–বিজেপি হাতাহাতি। উত্তর ২৪ পরগনায় বারাসতের চাঁপাডালিতেও তুমুল উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। কোচবিহারে বাস রোকোর জন্য আটক বিজেপি–র দুই বিধায়ক।
❤ Support Us