- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১২, ২০২৩
ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ত্রিকোণা মেয়ন।বিপন্ন ১৩ হাজার ফিলিপিন্স বাসী

ভয়ানক চেহারা নিচ্ছে মেয়ন। ফিলিপিন্সের উত্তর-পূর্বের সবথেকে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বিপদসঙ্কুল এলাকার ৬ কিমির মধ্যে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ১৩,০০০ বিপদাপন্ন ব্যক্তি আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই পেয়েছেন। প্রধানত লরিতে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে, তার সংখ্যা অপর্যাপ্ত হওয়ায় প্রয়োজনে মহিষের গাড়ির সাহায্যে ছিন্নমূল মানুষকে অন্য জায়গায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মেয়ন আগ্নেয়গিরি ত্রিকোণাকৃতির। গত সপ্তাহের শুরুতেই তাতে লাভার উদগীরণ শুরু হতে দেখা যায়। যেহেতু তা তখনই তীব্র আকার নেয়নি, তাই এ ব্যাপারে কেউই বিশেষ নজর দেননি। সপ্তাহ শেষে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয় । ক্রমশ তীব্রতর হতে থাকে অগ্ন্যুৎপাত। তখনই বাসিন্দাদের স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের প্রধান আগ্নেয়গিরি বিশারদ টেরেসিটো বাকলকোল বলেছেন, অগ্ন্যুচ্ছ্বাস যদি আরো বাড়ে তাহলে অনেক নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। এখনও ধীরগতিতে লাভা বেরোচ্ছে , তবে কখনও তা আরো ভয়ানক চেহারা নেবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আসলে এখান থেকে যে গ্যাস ও শিলাচূর্ণ নির্গত হয়, তাঁর থেকে রেহাই পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে অবস্থান করছে। আলবে প্রদেশের গভর্নর আল ফ্রান্সিস বিছারা বলছেন, চারদিকে এতটাই ধোঁয়াচ্ছন্ন যে খালি চোখে কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
পর্যটকদের কাছে মেয়ন অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দিত একটি স্থান। পাহাড়ের ফাটল থেকে বেরিয়ে আসা লাভার সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেকেই ভালোবাসেন। সেকারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি স্থান ঠিক করা হয়েছে,যেখানে রোমাঞ্চপ্রিয়রা অগ্ন্যুচ্ছ্বাস দেখে মোহিত হতে পারেন। ইতিমধ্যে তা দেখার জন্য পাহাড়ের চূড়ায় অনেকে ক্যাম্প করতে শুরু করেছেন।
ফিলিপাইনের বাইকোল নামক একটি উপদ্বীপে অবস্থিত মেয়ন পৃথিবীর ত্রিকোণাকৃতি আগ্নেয়গিরির গুলোর মধ্যে একটি। সক্রিয় হওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এটির আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। সমগ্র দ্বীপপুঞ্জে এরকম আগ্নেয়পর্বতের সংখ্যা ২২। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ৪৬০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত আগ্নেয়গিরিতে ২০১৮ সালে শেষবারের মতো অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। ১৮১৪ সালে কাগসাওয়া শহরটি এই আগ্নেয়গিরির লাভার নিচে চাপা পড়ে যায়। ১ হাজার ২০০ মানুষ প্রাণ হারান। এত প্রাণহানি সত্ত্বেও আগ্নেয়গিরি নিজের সৌন্দর্যে মহীয়ান। সেই ভয়ঙ্কর সুন্দরের হাতছানি উপেক্ষা করেতে পারেন এমন মানুষ কজনই বা রয়েছেন?
❤ Support Us