- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২৭, ২০২৪
ঝড়ের ক্ষতিপূরণ নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা। লুঠ করতে দেবনা, রাজ্যকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী রেমালের আশঙ্কা স্পর্শ করবে না আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতিকে। কিন্তু কথা রাখেনি রেমাল। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে সে। তার দাপটে ১৫০০০ বাড়ি সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ২৪ টি ব্লক ও পুরসভার ৭৯ টি ওয়ার্ডে রীতিমতো ধ্বংসলীলা চালিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু সুন্দরবনে যদি ‘ঝড়ের আগে কান্তি আসে’, তাহলে সারা পশ্চিমবঙ্গে ঝড়ের পরে কেন্দ্র রাজ্য ক্ষতিপূরণ সঙ্ঘাত ‘ আসে। নবান্নের অন্দরে চলছে ঝড়ে রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব।
আগামীকাল নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুর্যোগের পরেরদিন তাঁর আগমন মুহূর্তে শাসক দল যে ক্ষতিপূরণের দাবি জানাবে, সেটাই স্বাভাবিক। গত আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণের টাকা কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারকে দেয়নি। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স হলেও তাতে আশানুরূপ ফল মেলেনি। রাজ্যের দাবির ৩৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে মিলেছে মাত্র ১ হাজার কোটি। অপরদিকে , ঝড়ের পরে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসে। কেন্দ্রের দাবি, রাজ্যের চাওয়া টাকার অঙ্কে অসঙ্গতি রয়েছে। তার জন্য রাজ্যের কাছে সদুত্তর চাওয়া হয়েছে। তা পেলেই তবেই অর্থ অনুমোদন করবে কেন্দ্র।
এবারের ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত পরিসংখ্যান মেলেনি। চলছে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজ। তা শেষ হলেই অনুদানের প্রশ্ন তুলবে রাজ্য।
এ ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’কেন্দ্র ক্ষতিপূরণ নিশ্চয়ই দেবে। কিন্তু তৃণমূলকে লুঠ করার জন্য কোনও টাকা দেবে না।।’
❤ Support Us