- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতার সমস্যা, ৪০০ তীর্থযাত্রী সহ সাগরে দুর্ঘটনায় ফেরি নৌকো, উদ্ধার ১৭৫, এখনও উদ্ধার কাজ চলছে
গঙ্গাসাগর তীর্থস্থান সংলগ্ন কাকদ্বীপ নামখানা এলাকায় ৪০০ তীর্থযাত্রী নিয়ে একটি ফেরি নৌকো দুর্ঘটনায় পড়ে। পরে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। উপকূলরক্ষী বাহিনী হলদিয়া থেকে হোভারক্রাফ্ট এনে পর্যন্ত প্রায় ১৭৫ জন তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা করেছে এবং উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে বলে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে।
@IndiaCoastGuard Hovercrafts from #Haldia rescued approx 175 pilgrims from a grounded ferry off Namkhana, #Kakdwip today. Pilgrims were returning from #GangaSagar after a holy dip on Makar Sankranti when the ferry ran aground due to very poor visibility. Rescue is in progress. pic.twitter.com/aQ3mbJGvzC
— Indian Coast Guard (@IndiaCoastGuard) January 16, 2024
তীর্থযাত্রীরা মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে পবিত্র সাগরে স্নান করে গঙ্গাসাগর থেকে ফিরছিলেন। ঘন কুয়াশার ফলে দৃশ্যমানতা সঠিক না কারণে তাদের নৌকাটি ভেসে যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গাসাগরে নৌকা দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে বলেন, “একটি ভেসেলে সমস্যা হয়েছে। অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে, এখনও উদ্ধার কাজ চলছে।”
রাজ্যের যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, “দৃশ্যমানতা কম থাকায় এই দুর্থটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে, এখনও উদ্ধার কাজ চলছে।”
মকর সংক্রান্তিতে প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলায় পূণ্যস্নানের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ভক্ত ও তীর্থযাত্রীদের সমাগম হয়। গঙ্গা ও বঙ্গপোসাগরের সঙ্গমস্থলে মজর সংক্রান্তির পবিত্র তিথিতে স্নান করে পূণ্য অর্জনের লক্ষ্যেই বহু মানুষ এখানে আসেন। মকর সংক্রান্তির শুভ দিনটি গঙ্গাসাগর উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। প্রচুর মানুষের সমাবেশ মেলার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্বকে বাড়িয়ে তোলে। বাংলার উপকূলে অবস্থিত, সাগরদ্বীপের ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য এবং ধর্মীয় গুরুত্ব অপরিসীম। গঙ্গা নদী এবং বঙ্গোপসাগরের সঙ্গমের এই জায়গাটি একটি অনন্য আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি করে। কুম্ভ মেলার পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা মকর সংক্রান্তির পবিত্র দিনে শুরু হয়, যা সাধারণত প্রতি বছর ১৪ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৭ জানুয়ারিতে উৎসব শেষ হয়।
দেশের প্রাচীনতম এবং অন্যতম প্রধান তীর্থস্থানগুলির একটি হচ্ছে গঙ্গাসাগর।
মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার মেলা কমিটি, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, পর্যটন দফতর, সিভিল ডিফেন্স, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, বঙ্গীয় ক্ষত্রিয় সমাজ সহ সব সরকারি দফতর ও ধর্মীয় এবং সামাজিক সংগঠনকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, “গঙ্গাসাগর মেলা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। তীর্থযাত্রীরাও নিজ গন্তব্যে ফিরেছেন। এখনও ২৭ হাজারের মতো তীর্থযাত্রী গঙ্গাসাগরে আছেন।” রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু, ইন্দ্রনীল সেন মেলা প্রাঙ্গণে থেকে পরিস্থিতি সামলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের একটি করে স্মারক দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
❤ Support Us