- দে । শ
- সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪
মঙ্গলকোটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পড়ল বোমা, চলল গুলি, ধৃত ২
মঙ্গলকোটে ফের তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর ঝামেলাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল। মঙ্গলকোটের ন’পাড়া গ্রামের ঘটনা। গ্রামের নিয়ন্ত্রণ কোন গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে তাই নিয়ে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চাপানউতোর চলছিল। একদিকে সংশ্লিষ্ট ঝিলু ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মোজাহার মোল্লা, অন্যদিকে গ্রামের ৯৮নং বুথ সভাপতি রবিউল শেখ। একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ঝামেলা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। রবিউলের লোকজনকে লক্ষ করে বোমা ছোড়া ও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম রবিউলের আত্মীয় গ্রামের তৃণমূল কর্মী শেখ নাসিরুদ্দিন। তার হাতে চোট লেগেছে। তাকে চিকিৎসার জন্য মঙ্গলকোট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ উপপ্রধান মোজাহারের ছেলে আবদুর রহমান ওরফে হাবলা আর মোল্লা সফিউদ্দিন আজিজকে গ্রেপ্তার করেছে। দুজনকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ রাউন্ড গুলির খোল ও বোমার টুকরো উদ্ধার করেছে।
এদিকে এই ঘটনায় ‘মঙ্গলকোটকে ফের অশান্ত করার’ জন্য সিপিএমকে দুষছেন মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরি। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক চলছিল। সেখানে সিপিএমের হার্মাদরা বোমা-গুলি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমাদের এক কর্মী অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।’ তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করা হয়েছে। সিপিএম অবশ্য জানিয়েছে, ‘ওই গ্রামে সিপিএমের অস্তিত্বই নেই। এটা স্রেফ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’। কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
❤ Support Us