- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
কাশ্মীরের বাদগামে কর্তব্যরত পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে লস্কর জঙ্গিদের মুখমুখি সংঘর্ষ, নিহত দুই আততায়ী
নির্বাচন না হওয়ার মাশুল দিচ্ছে কি কাশ্মীর? উঠছে প্রশ্ন

আবারও রক্তাক্ত হল কাশ্মীরের মাটি। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে নিহত হল দুই জঙ্গি।মৃত দুই জঙ্গির কাছে থেকে অস্ত্রশসত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের বাদগাম জেলায় আদালত চত্বরের কাছে টহল দিচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। সঙ্গে যোগ দিয়েছিল স্থানীয় পুলিশও। সে সময় একটি সন্দেহজনক গাড়িকে দেখে তাকে আটকাবার চেষ্টা করে নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। সে সসময় একদল জঙ্গি তাদের ওপর গুলি চালায়। নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী তাদের ওপর পাল্টা গুলি চালালে জঙ্গিদের দুজন নিহত হয়। নিহতদের কাছে থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি এ কে ৪৭ এবং একটি পিস্তল।
২০১৯ সালের ৪ আগস্ট সংসদে বিল পাশ করে ৩৭০ ধারায় জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। কাশ্মীরকে দুভাগে ভাগ করে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কাশ্মীরে শান্তি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রতিশ্রুতি ছিল জঙ্গি হামলা দমনে সহায়ক হবে ৩৭০ ধারার প্রত্যাহার। কিন্তু কাশ্মীরের বর্তমান রাজনৈতিক চিত্র ভিন্ন প্রকৃতির।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভোট না হওয়ার কারণেই উপত্যকার অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি মদত দিচ্ছে লস্কর-ই-তৈবাকে। তাঁদের মতে, হিজবে মুজাহিদিন এবং অন্যান্য জঙ্গী সংগঠনের সমর্থন পাচ্ছে লস্কর। জেকেএলএফ কাশ্মীরের রাজনৈতিক মানচিত্রে কার্যত অনুপস্থিত। অন্যান্য নেতারা ছত্রভঙ্গ। হুরিয়ত কনফারেন্স প্রায় অস্তিত্বহীন। রাজনীতির ময়দানে আছে ন্যাশনাল কনফারেন্স, মেহবুবা মুফতির দল এবং জম্মু অঞ্চলে বিজেপি। ডিলিমিটেশনের পর ভোট ঘোষণা করার কথা ছিল,কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও কাশ্মীরের কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। কেন করেনি এজন্য রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা ফুঁসছেন কিন্তু সাধারণ মানুষ উদাসীন। তাঁদের ধারণা, কাশ্মীরের যে কোনো ঘটনা নিছক প্রহসন। এই ধরনের সন্দেহের সুযোগ নিচ্ছে লস্কর-ই-তৈবার মত সংগঠন। যাদের নেতৃত্বে রয়েছে প্রধানত দলছুট ছাত্ররা।কাশ্মীরে শান্তি কোন পথে তাঁর সমাধান সূত্র অধরা এখনও।
❤ Support Us