Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • আগস্ট ১২, ২০২৪

কালনায় ডায়রিয়ার সংক্রমণ, হাসপাতালে মৃত ২

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কালনায় ডায়রিয়ার সংক্রমণ, হাসপাতালে মৃত ২

কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে কালনা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পরপর ২ রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়াল আতঙ্ক। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেথ সার্টিফিকেটে ‘সেপসিস’ বা সংক্রমণজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। মৃতরা হল সজনী হাঁসদা (৩২) ও ধীরেন হাঁসদা(৫৯)। তাদের বাড়ি কালনা থানার নারেঙ্গা গ্রামে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য রোগীদের যেমন চিকিৎসা চলছে, অন্যদিকে তেমনই ওই গ্রামে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা চিকিৎসা শুরু করেন রবিবার থেকে। এছাড়াও ওই গ্রামে পিএইচইর জলের কানেকশন থাকা সত্বেও এখনও জল না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার পর পুকুরের জল ব্যবহার না করা নিয়ে মাইকিংয়ে সচেতনতার প্রচার ও ওই গ্রামে থাকা চাপাকলগুলি বন্ধ রেখেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত। পরিবর্তে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে জল সরবরাহ শুরু করেছে।

কালনা ২ ব্লকের অকালপৌষ পঞ্চায়েতের নারেঙ্গা গ্রামে বমি ও পায়খানার উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন পরিবারের বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হন। গত কয়েকদিন ধরে চলা এই ঘটনার পর আক্রান্তদের কালনা হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পায়খানা ও বমির উপসর্গ নিয়ে ওই এলাকা থেকে রবিবার পর্যন্ত ৭ বছরের এক শিশু সহ ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে করেকজন সুস্থ হওয়ায় তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। এছাড়াও গত ৮ আগস্ট ওই একই উপসর্গ নিয়ে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নারেঙ্গার বাসিন্দা সজনী হাঁসদাকে। শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। আর একই উপসর্গ নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ধীরেন হাঁসদার মৃত্যু হয় রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে একই এলাকার দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কিত ওই এলাকার অন্যান্য আক্রান্ত ব্যক্তিরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিঙ্কি হাঁসদা, দীপা মূর্মূরা জানান, ‘বমি ও পায়খানা খুব বেশী পরিমাণে হওয়ায় আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে কি কারণে এইরকম হল বুঝতে পারছি না। এলাকায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাই খুব ভয় লাগছে। আমাদের ওখানে পানীয় জলের একটিই মাত্র কল রয়েছে। এছাড়া অন্য কাজে পুকুরের জলও ব্যবহার করা হয়।’

অকালপৌষ পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল গড়াই জানান, ‘বমি-পায়খানার উপসর্গ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন পরিবারের মানুষজন আক্রান্ত হয়েছেন। এই এলাকার বেশিরভাগ শ্রমিকের কাজ করেন। জল থেকে এইরকম ঘটনা হয়েছে কিনা তা দেখতে কলের জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এলাকার চাপা কল এই কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে ক্লোরিনযুক্ত পানীয় জল ২টি ট্যাঙ্কের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে। মেডিকেল টিম এসেছে। জল ফুটিয়ে খাওয়ার জন্য ও পুকুরের জল ব্যবহার না করার জন্য মাইকিংয়ে সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ। বিধায়ক বলেন, ‘নারেঙ্গা ও আলাগড় এলাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন কয়েকজন। ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কালনা শহরের চারাবাগান এলাকারও ১ জন ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!