Advertisement
  • এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • নভেম্বর ২৩, ২০২২

জার্মানিকে হারিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমিতে জাপানের সূর্যোদয়

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জার্মানিকে হারিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমিতে জাপানের সূর্যোদয়

আগের দিন আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন ঘটিয়েছিল সৌদি আরব। বুধবার আরও একটা অঘটন। আর সেই অঘটন ঘটানোর কৃতিত্ব আরও একটা এশিয়ার দেশের। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে অঘটন ঘটাল জাপান। বিশ্ব ফুটবলের বড় আসরে অন্যতম সফল দল জার্মানি। ব্রাজিলে পর সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে তাদেরই। ‌‌এই রকম দলকে হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করল জাপান।

ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য জার্মানির প্রাধান্য ছিল। শুরু থেকেই ঝড় তুলে নিয়ে এলেও অবশ্য গোলমুখ খুলতে পারছিল না জার্মানি।  অবশেষে ৩১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায়। ডানদিক থেকে জাপান বক্সে ডেভিড রাউমের উদ্দেশ্যে উঁচু বল বাড়িয়েছিলেন জোসুয়া কিমিচ। রাউম বল ধরতেই তাঁকে ট্যাকেল করেন জাপান গোলকিপার সুইচি গন্ডা। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে জার্মানি এগিয়ে দেন গুন্ডোগান।

পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় জাপান। জমিতে বল রেখে দ্রুত গতিতে প্রতিআক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। কিন্তু জার্মানির রক্ষণে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন অ্যান্টোনিও রুডিগার। সুবিধা করতে পারেনি জাপান। অন্যদিকে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে জাপান রক্ষণকে ফালাফালা করে দিচ্ছিলেন ন্যাব্রি, টমাস মুলার, গুন্ডোগানরা। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে দুরন্ত আক্রমণ থেকে জাপানের জালে বল জড়িয়েছিলেন কাই হ্যাভার্টজ। অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল হয়ে যায়।

৬০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল জার্মানির সামনে। জামাল মুসিয়ালার কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ শট নিয়েছিলেন গুন্ডোগান। বল পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিটেই প্রতিআক্রমণে উঠে এসে জার্মানির গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন তাকুমা আসানো। তাঁর সেই শট বারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৭০ মিনিটে তিন তিনবার দারুণ সেভ করেন জাপান গোলকিপার গন্ডা। প্রথমে মুসিয়ালার শট, পরে ন্যাব্রির একটা শট ও হেড। ৭৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসে গিয়েছিল জাপানের সামনে। ইতোর শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে বাঁচান ম্যানু্য়েল ন্যুয়ের।

তবে বেশিক্ষণ দূর্গ রক্ষা করতে পারেননি জার্মান গোলকিপার। ৭৪ মিনিটে সমতা ফেরায় জাপান। বাঁদিক থেকে উঠে এসে জার্মানির বক্সে বল বাড়ান মিনামিনো। মিতোমার শট ন্যুয়ের ঝাঁপিয়ে বাঁচালে ফিরতি বল যায় দোয়ান রিৎসুর কাছে। দুরন্ত শটে তিনি সমতা ফেরান। ম্যাচের চমক ৮৩ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে লম্বা বল বাড়িয়েছিলেন ইতাকুরা। সেই বল ধরে বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে জাপানের হয়ে জয়সুচক গোল করেন তাকামো আসানো।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!