- দে । শ
- মার্চ ১৭, ২০২৩
মায়ানমারে ফের গণহত্যা । বৌদ্ধ মঠে চলল গুলি। নিহত ২২, জখম বহু। উদবিগ্ন রাষ্ট্রসঙ্ঘ।দায় এড়িয়ে সেনার পাল্টা বিবৃতি
নিরীহ মানুষের রক্তে ফের রক্তাক্ত মায়ানমার। সে দেশে অন্তত ২২জন সাধারণ নাগরিক গণহত্যার শিকার হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে তিনজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে নতুন করে এই গণহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। এর জেরে কাঠগড়ায় জুন্টা সরকারের সেনাবাহিনী।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে লাগাতারভাবে গণহত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে বলে অভিযোগ অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার। অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের দাবি, এপর্যন্ত মৃতের সংখ্যা অন্ততপক্ষে ৩ হাজার ১৩৭জন। রাষ্ট্রসঙ্ঘেও মায়ানমারের সেনা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবিকতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ তুলেছে।
তবে এপর্যন্ত সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে জুন্টা সরকার। উল্টে সেনা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করে আক্রমণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। নানা সময়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা সন্ত্রাসবাদী। সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বিভিন্ন সময়ে ওদে্র মৃত্যু হয়।
এদিকে তিনজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী-সহ নতুন করে যে ২২জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ্যে এসেছে।সেনা সরকারের মুখপাত্রের বক্তব্য, শান রাজ্যের পিনলাং এলাকাতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বিদ্রোহীদের। বিদ্রোহী সংগঠন কেএনডিএফ এবং বিদ্রোহীদের আরেকটি গোষ্ঠী ওই এলাকায় ঢুকে পড়ার খবর মেলায় সেনা সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই হাজির হয়েছিল।
জুন্টা সরকারের দাবি, সেনার গুলিতে কোনও নিরীহ নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। বিদ্রোহী সন্ত্রাসবাদীরা নির্বিচারে গুলি চালানোয় কয়েকজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। কয়েকজন জখম হয়েছেন।
বিদ্রোহী সংগঠন কেএনডিএফ পাল্টা বিবৃতি দিয়ে সরকারের এই দাবি খারিজ করেছে। মৃতদেহগুলির ভিডিয়ো ও ছবি তুলে ধরে বিদ্রোহী সংগঠন কেএনডিএফ এবং কেআরইউ দাবি করেছে, মাথায় ও শরীরের অন্যান্য অংশে সেনার গুলিতেই নিরীহ গ্রামবাসীদের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বৌদ্ধমঠ লক্ষ্য করেও নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে সেনা। মঠের দেওয়ালে বিদ্ধ গুলির চিহ্নও ভিডিয়ো ও ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
অভিযোগ, খুব কাছ থেকে গুলি করে ২২জনকে হত্যা করেছে সেনা। মৃতদের কেউই সামরিক উর্দি পরে ছিলেন না। এমনকি মৃতদেহগুলির আশেপাশে কোনও অস্ত্রশস্ত্রও মেলেনি। এ থেকেই প্রমাণিত হয় ওঁরা নিরীহ নাগরিক।
❤ Support Us