- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মরক্কো। প্রাণ হারাল ৬৩২, আহত বহু

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মরক্কো। মরক্কোর এই ভূমিকম্পে প্রাণ হারাল ৬৩২ জন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। তবে সরকারি ভাবে হতাহতের কোনও সংখ্যা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সূত্রে খবর, গতকাল রাত ১১টা ১১ মিনিটে মারাখেস থেকে ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে তীব্রতার পরিমাণ ৬.৮। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভূমিকম্পটি উপকূলীয় শহর রাবাত, কাসাব্লাঙ্কা এবং এসসাউইরাতেও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করে মরক্কোর এই সঙ্কটে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মরক্কোকে সম্ভাব্য সমস্ত রকম সাহায্য করার আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন।
Extremely pained by the loss of lives due to an earthquake in Morocco. In this tragic hour, my thoughts are with the people of Morocco. Condolences to those who have lost their loved ones. May the injured recover at the earliest. India is ready to offer all possible assistance to…
— Narendra Modi (@narendramodi) September 9, 2023
এই ভূমিকম্পের প্রভাবের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির জন্য কমলা সতর্কতা এবং প্রাণহানির কারণে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে ভূমিকম্প হয়েছে সেখানে বহু মানুষের বাস, তবে এলাকাটি ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অর্থাৎ ভূমিকম্প প্রবণ । ভূমিকম্পের জেরে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে মারাকেশে ইন্টারনেট পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। মারাখেসের হাসপাতালগুলিতে আহতদের এখন উপচে পড়া ভিড়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত এই ভূমিকম্পটি ওখানকার সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে মনে করা হচ্ছে।
মারাখেসের ৩৩ বছর বাসিন্দা আব্দেলহক এল আমরানি বার্তাসংস্থা এএফপিকে টেলিফোনে বলেছেন, “আমরা খুবিই শক্তিশালী কম্পন অনুভব করি। আমি বুঝতে পারি এটি একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। আমি আমার বাড়িটিকে নড়তে দেখছিলাম। তখন আমি বাইরে বের হয়ে দেখি রাস্তায় অসংখ্য মানুষ উদ্ভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি করছে। সব মানুষই এই ভূমিকম্পের ফলে আতঙ্কিত ও হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিল। শিশুরা কান্নাকাটি করছিল; বাবা-মায়েরা স্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল।”
ওই ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর ১০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ সরবারহ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক চলে গিয়েছিল। বিদ্যুৎ আসলেও কেউ আর নিজ ঘরের ভেতর যাননি।
মরক্কোর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আটলাস পরবর্তমালার কিছু এলাকায় সমস্ত বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। আর সেসব এলাকার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কোনও তথ্য জানা যাচ্ছে না। তবে ওই পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে এই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ সাধারণত মধ্যরাতে যেসব ভূমিকম্প সংঘটিত হয় সেগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে কিছুটা সময় লাগে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রের কাছে পাহাড়ি এলাকার আস্নি গ্রামের বাসিন্দা মনতাসির ইত্রি জানান, সেখানকার বেশিরভাগ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবেশীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে ও নিজেদের সরঞ্জাম দিয়ে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে স্থানীয়রা।
আরও পশ্চিমে তারউদান্তের কাছে শিক্ষক হামিদ আফকার বলেন, তিনি তার বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছেন ও ভূমিকম্পের পরে আফটারশক হয়েছে। ভূসিকম্পটি প্রায় ২০ সেকেন্ড স্থায়ী হয় বলেও জানান তিনি।
❤ Support Us