Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ২১, ২০২৩

আরো ৩ বিরোধী সাংসদ লোকসভা থেকে সাসপেন্ড। বহিস্কৃত সাংসদের সংখ্যা বেড়ে ১৪৬

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আরো ৩ বিরোধী সাংসদ লোকসভা থেকে সাসপেন্ড। বহিস্কৃত সাংসদের সংখ্যা বেড়ে ১৪৬

সংসদীয় গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদ। সংসদ বিরোধীদের বক্তব্য পেশ করার অন্যতম জায়গা। কিন্তু ভর্তিও সংসদে বেশ কিছুদিন যাবৎ নজির বিহীন ঘটনা ঘটে চলেছে। সংসদে স্মোক বম্ব হামলায় সংসদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে, এই দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংসদের উভয় কক্ষে   বিরোধী সাংসদরা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেন সেইদিন থেকেই বিরোধী সাংসদদের উপর নেমে আস্তে শুরু করে সাসপেনশনের খাড়া। তারপর থেকে বুধবার পর্যন্ত ১৪৩ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার আরও ৩ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার পর মোট ১৪৬ জন বিরোধী সংসদ সাসপেন্ড হলেন। শুধুমাত্র সংসদে স্মোক বম্ব হামলায় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে এই ১৪৬জন সাংসদকে সংসদের শিৎকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হল।

সংসদের নিম্নকক্ষ বা লোকসভা থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সংসদ সদস্যের সংখ্যা এখন দাঁড়াল ১০০ জনে । প্রসঙ্গত গতকালও দুই বিরোধী সংসদ সদস্যকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সংসদ থেকে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করার প্রক্রিয়া এই সপ্তাহের শুরুতে আরম্ভ হয়। সাসপেনশনের কারণ বিরোধীরা লোকসভায় নিরাপত্তা লঙ্ঘন সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিবৃতি দাবি দাবি করেছিলেন। মূলত সংসদের কার্যক্রম চলাকালীন সংসদে এই স্মোক বম্ব হামলা হয়।সংসদ অধিবেশন চলাকালীন দুই দর্শক সংসদের দর্শকাসন থেকে লাফিয়ে পড়েন সাংসদদের চেয়ারের দিকে। তাদের সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলা হয়। ওই দুই ব্যক্তি স্মোক বম্ব চার্জ করে সংসদের মধ্যে। এই দুই ব্যক্তিকে সংসদে প্রবেশের পাস দেন মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিনহা।

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে অনুকরণ করার পর এই ইস্যুটি শাসক বিরোধী চূড়ান্ত সংঘাতের জায়গায় পৌঁছে যায়। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে যে সংসদ সদস্যদের সাসপেন্ড করে কোনও আলোচনা ছাড়াই সংসদে বিল পাস করার জন্য কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার এই চক্রান্ত করেছে।

গণ হারে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করার পর এখন সংসদে বিরোধীদের শক্তি এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে, এই অবস্থায় ফৌজদারি আইন সংশোধনের তিনটি বিল গতকাল লোকসভায় ন্যূনতম আলোচনার মাধ্যমে পাস হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিরোধী শূন্য লোকসভায় পাস হয়ে গেল দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি। বিরোধীরা এই ঘটনাকে “অসম্মানজনক” বলে অভিহিত করেছে।

বৃহস্পতিবার বরখাস্ত হওয়া সাংসদরা সংসদ ভবন থেকে দিল্লির কেন্দ্রস্থল বিজয় চক পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিল করেছে, মিছিল থেকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারক সংসদীয় গণতন্ত্র নষ্ট করছে।

সাসপেন্ড হওয়া কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, “সংসদে একটি বড় নিরাপত্তা লঙ্ঘন ঘটল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর দায়িত্ব পালন করার পরিবর্তে, সংসদীয় গণতন্ত্রকে অপমান করেছেন সংসদে উপস্থিত হওয়ার দাবিকে অস্বীকার করে, অথচ এটা তাঁর কর্তব্য। তিনি বাইরে গিয়ে প্রেস বিবৃতি দিচ্ছেন অথচ তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে এই বিষয়টি বলতে পারতেন যা তিনি বাইরে বলেছেন।”

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর বলেন, “আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, সরকার যা করেছে তা গ্রহণযোগ্য ছিল না। এটি সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতিকে  সম্মান জানাতে কোনও সদিচ্ছা প্রকাশ করেনি। দ্বিতীয়ত, সংসদ সদস্যরা যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতি এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি জানান, তখন তাদের সাসপেন্ড করা হল।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!