- দে । শ
- মে ১০, ২০২৪
তাঁতশ্রমিকের মেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে দশম। মেধা তালিকায় কাটোয়ার আরও দুই

এককালে তাঁতের ঠকঠকানিতে পাড়া মুখর হয়ে থাকত। ঘরে ঘরে নিজের তাঁত। কোভিডে কাড়ল সব। পড়শিদের মত নিজের তাঁত হারিয়ে এখন অন্যের তাঁতে কাজ করেন মানিক সেন। মানিকের মতই এলাকার অনেক মালিকই মজুর হয়ে গিয়েছেন। এই পাহাড়প্রমাণ দারিদ্রের মধ্যেও নিজের স্বপ্নকে মরতে দেয়নি মানিকের মেয়ে ইন্দ্রাণী। উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে ১০ম স্থান লাভ করেছে পূর্বস্থলী ১নং ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নসরৎপুর-পারুলডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ইন্দ্রাণী। পেয়েছে ৪৮৭। রসায়ন নিয়ে গবেষণার ইচ্ছে ইন্দ্রাণীর। সেই ইচ্ছে পূরণে বড় বাধা অর্থ। এমনিতে সংসার তেমন ভাল করে চলে না। কারণ রোজ রোজতো আর কাজ মেলে না। কিন্তু লেখাপড়ার প্রতি ইন্দ্রাণীর আগ্রহে অভিভূত স্কুলের শিক্ষকরা ইন্দ্রাণীকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন। মানিকবাবু বললেন, ‘সাঙ্ঘাতিক কষ্টের মধ্যেও মেয়েটা লেখাপড়ায় এতটুকু অবহেলা করেনি। জানি না, ওর স্বপ্ন সফল হবে কিনা!’ উল্লেখ্য যে, এবার নসরৎপুর পারুলডাঙা উচ্চবিদ্যালয় মাধ্যমিকেও এবার ভাল ফল করেছে। রাজ্যের মেধা তালিকায় এই স্কুলের ২ জন ছিল।
উচ্চমাধ্যমিকে দশম হয়েছে কাটোয়ার মেঝিয়ারি সতীশচন্দ্র স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী অন্তরা শেঠ। প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। পেশায় প্রাথমিকের শিক্ষক অমিতাভ শেঠের ছোট মেয়ে অন্তরা কলা বিভাগের ছাত্রী। অন্তরার কথায়, ‘ভাল ফল হবে জানতাম। কিন্তু মেধা তালিকায় নাম উঠবে, স্বপ্নেও ভাবিনি।’ ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় অন্তরা। ইচ্ছে, ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করে ভাল রেজাল্ট করে অধ্যাপক হওয়া। এই স্কুলটি এবারই প্রথম মেধা তালিকায় ঠাঁই পেল। এদিকে মেধা তালিকার দশম স্থানে রয়েছে মন্তেশ্বর সাগরবালা উচ্চবিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থী সোহম কোনার। সোহমের বাবা বিজিত কোনার হাইস্কুলের শিক্ষক। মা কৃষ্ণা কোনার গৃহবধূ। মাধ্যমিকেও দশম স্থান অধিকার করেছিল সোহম। তার ইচ্ছে ডাক্তার হওয়া। ইচ্ছে পূরণে রেজাল্ট বেরনোর আগে থেকেই লেখাপড়া শুরু করে দিয়েছে সোহম।
❤ Support Us