- প্রচ্ছদ রচনা
- জুলাই ৭, ২০২২
নেতাজি ইন্ডোর থেকে মুখ্যমন্ত্রী: ৩০ হাজার চাকরি তৈরি, চাকরি মেলা করবে রাজ্য।

বাংলার শিক্ষার মান অনেক উন্নত হয়েছে। তা বর্তমানে সিবিএসই, আইসিএসই’র সমান। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিতরণের অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কর্মসংস্থানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ৮ হাজার পড়ুয়াদের হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগে বাংলার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডের নম্বরের তফাৎ থাকত। তাঁরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেত না। এখন ৮০-৯০ শতাংশ নম্বর পান বাংলার ছাত্রছাত্রীরা । স্ট্যান্ডার্ড এক হয়ে গিয়েছে। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা সর্বশ্রেষ্ঠ। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষায় এক নম্বরে। বাংলার মেধা সবচেয়ে গর্বের। স্নাতক হলেই আমাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়ার সুযোগ পান। পড়ুয়াদের অনুরোধ করে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, বিদেশে পাকাপাকিভাবে থাকার পরিকল্পনা করবেন না। বিদেশে পড়াশোনা শেষে বাংলায় ফিরে আসার আরজি জানান তিনি ।
অর্থিক সমস্যায় এখন উচ্চশিক্ষার অন্তরায় হতে পারবে না। পড়াশোনার সুযোগ যাতে সবাই পায়, তাই একাধিক প্রকল্পের বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকারি স্কুলের ছাত্রীরা এখন কন্যাশ্রী পান। তফশিলি, আদিবাসী পড়ুয়ারা শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ পান। অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়াও বঞ্চিত নন। তাঁরা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পান।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়া মনোরোগীদের পুনর্বাসনের জন্য নির্মিত আবাস ‘প্রত্যয় হাফ-ওয়ে হোম’ ও সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানান, গত ১০ বছরে রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ, ২৭২টি আইটিআই, ১৭৪ পলিটেকনিক, ৭ হাজার স্কুল, ২ লক্ষের বেশি ক্লাস, ৩৮১টি সাঁওতালি মাধ্যম এবং ৪ হাজারের বেশি অন্য ভাষার স্কুল তৈরি হয়েছে।
রাজ্যে কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও জানান মমতা । তাঁর দাবি, রাজ্যে ৩০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। আইটিআই এবং পলিটেকনিক থেকে যাঁরা স্কিল ট্রেনিং নিয়েছেন, তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা করবে রাজ্য। এর জন্য রাজ্য চাকরি মেলারও আয়োজন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘আইটিআই ও পলিটেকনিকে স্কিল ট্রেনিং দিচ্ছি। চাকরি মেলা করছি আমরা। চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতাদের মিলিয়ে দিচ্ছি। ইতিমধ্যেই ৩০ হাজার চাকরি তৈরি আছে। স্কিল ট্রেনিং যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের চাকরি দেওয়া হবে ।’
‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের মাধ্যমেও কর্মসংস্থান তৈরি করা হচ্ছে। তবে এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকেও নিশানা করে মমতা বলেন, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা ছ’মাস ধরে বন্ধ। ইউজিসির টাকা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলার ঘর তৈরির পরিকল্পনা বন্ধ করে দিয়েছে । এই টাকা তো এখান থেকে তুলে নিয়ে যায়। রাজনৈতিক কারণে আর্থিক ভাবে অবরুদ্ধ করা হচ্ছে । তবুও বুদ্ধি খরচ করতে হয় । বিদ্যা, বই আর ঘরের বউ কাউকে ধার দিতে নেই। বুদ্ধি খরচ করে, টাকা না দেওয়া সত্ত্বেও ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছি একশো দিনের কাজে।’
❤ Support Us