- এই মুহূর্তে দে । শ
- এপ্রিল ১৯, ২০২৪
ভোটের মুখে ফের দলবদল, বসিরহাটে শাসকদলে যোগ দিলেন ৩০০ জন

ভোটের মুখে বসিরহাটে সিপিএম, কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের যোগদান চলছেই। ফের বিরোধী শিবিরে ধস নামল বসিরহাট উত্তরে। আজ, বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে একটি কর্মীসভায় সিপিএম, কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন ৩০০ –র বেশি মানুষ। শুক্রবার বিকেলে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে কর্মী সভা ছিল বসিরহাট ২ ব্লকের রাজেন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের চন্ডীগড়ী গ্রামে। তার আগে মাটিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় শতাধিক সিপিএম ও আইএসএফ সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন।
এদিন রাজেন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সমীর বাছাড় ও উপ প্রধান মাহমুদুল হাসান দলত্যাগী সিপিএম , কংগ্রেস থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। এদের মধ্যে অনেক মহিলা এবং আশা কর্মী ছিলেন। তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে তাঁরা বলেন, ‘তৃণমূল আমলে গ্রামের মানুষের জন্য উন্নয়ন দেখে আমরা দল ছাড়লাম। বহুদিন ধরে সিপিএম, কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থেকে সাধারণ গরিব মানু্যের স্বার্থে এত উন্নয়ন দেখিনি। মমতা ব্যানার্জি গ্রামের চেহারাই বদলে দিয়েছেন।’ তাঁরা বলেন, ‘লোকসভায় হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী করায় আমাদের নিজেদের লোককে নির্বাচিত করা সুযোগ পেয়েছি। এর আগে সাংসদ হয়ে হাজি নুরুল এলাকার জন্য অনেক কাজ করেছেন। তাই সব দিক বিচার করে আমরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছি করলাম। এদিন রাজেন্দ্রপুর পঞ্চায়েত প্রধান সমীর বাছাড় বলেন, রাজেন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের চন্ডিগড়ী গ্রাম দলের কর্মী সভায় গ্রামের মানুষ স্বতস্ফুর্ত ভাবে যোগ দেন। সেখানে ১৭৫ নম্বর বুথ থেকে কংগ্রেস, সিপিএমের ৩০০ জন কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এই যোগদানর ফলে ওই গ্রামে আমাদের শক্তি যেমন বাড়ল পাশাপাশি সিপিএম কংগ্রেসের কোন সংগঠন নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল।’ যদিও সিপিএম ও কংগ্রেসের দাবি, যাঁরা গিয়েছেন তাদের সিপিএম বা কংগ্রেসের কর্মী বলে তৃণমূল চিহ্নিত করলেও কেউই সক্রিয় রাজনীতি করেন না। সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে সভায় নিয়ে গিয়ে দলত্যাগের গল্প ফাঁদা হচ্ছে।
❤ Support Us