Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মে ২২, ২০২৪

ভোটের পরেও বাংলায় কিছুদিন থেকে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৩২০ কোম্পানি । কোন প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে হিংসার আগাম নিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ভোটের পরেও বাংলায় কিছুদিন থেকে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৩২০ কোম্পানি । কোন প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে হিংসার আগাম নিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ?

লোকসভা ভোটের পরেও বাংলায় ৩২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে যেতে পারে , জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভোটের ফল ঘোষণার শেষ হলে অন্তত  ১৫ দিন বাঙলার বেশ কিছু এলাকা পাহারা দেবে সশস্ত্র ফৌজ । সিআইএসএফ,সিআরপিএফ, বিএসএফ ও এসএসবি-র  বাহিনী মোতায়ন রাখা হবে  । পরিস্থিতি বুঝে সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে ।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। তাতে আশঙ্কা  করা হয়েছে , রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় নির্বাচন মিটলেই অশান্তি মাথাচাড়া দিতে পারে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিরোধী দলের দশ সমর্থকের মৃত্যু হয় । কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করে । সিবিআই সম্প্রতি সন্দেশখালি ও ভুপতিনগরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা  বাধা পায়, এ নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতির আবহাওয়া । এই কারণেই  সামগ্রিক পরিবেশের বজায় রাখতে কেন্দ্র  তৎপর।  নির্বাচনের আগে পরে হিংসার লম্ফঝম্ফ যেন অলিখিত শর্ত হয়ে উঠেছে। ১৯৭১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভোটকে কেন্দ্র করে  কত সংখ্যক মানুষ  হিংসার বলি হয়েছেন , তার যথার্থ তথ্য হাতে নেই । বাম জমানায় হিংসার উগ্রতা সীমা ছাড়িয়ে যায় । আজও সে বদ রেওয়াজ অব্যাহত । এক সময় ইউপি ও বিহারে ভোটের আগে পরে ব্যাপক খুন খারাপি দেখা যেত । ইদানীং অশান্তির মুখ পূর্বমুখী । একদল ক্ষমতায় টিকে থাকতে , আরেক দল ক্ষমতায়  ফিরতে হিংসা ছড়িয়ে দেয় ।  গত কয়েক বছর জুড়ে বিজেপি বাংলার ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া ।  বহিরাগতের দূর্বৃত্তায়ণ রুখতে বাংলার ক্রোধ আর ঐক্য কোথায় ? বাইরে অপবাদ ছড়াচ্ছে , বঙ্গে ভোট মানেই হিংসা। এই অপবাদে ইন্ধন যোগায় এমন কিছু বিভাজক শক্তি যাদের  অস্ত্রতলে শান্তি দলিত , উপদ্রুত। হিংসার অভিযোগ সত্য হলেও তার অতিরঞ্জিত রূপে রাজনৈতিক ইন্ধন অস্বীকার করা অসাধ্য। দেশের সর্বোচ্চ   প্রশাসক থেকে  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যন্ত অনেকেই উস্কানি আর ক্ষমতা-মত্ততা প্রদর্শনে ব্যস্ত। কেউ কেউ নিয়মনীতি আর শালীনতাকে তুচ্ছ জ্ঞানে নাকচ করে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ উগরে দিচ্ছেন ভোট প্রচারে । নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার প্রবণতা দেখেও নির্বাচনের কারিগররা বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি । বিদ্বেষের প্রচার কিংবা প্রতিশোধস্পৃহা ভোটের পর আরও বেশি উগ্রতা ছড়িয়ে দিতে পারে , এ কথা কেন দেশের নীতি নির্ধারকরা ভাবছেন না , বলা মুশকিল । ক্ষমতাই কি বহুদলীয় রাজনীতিকদের একমাত্র লক্ষ্য ?  যদি ভোট পরবর্তী হিংসার আশঙ্কা থেকে থাকে, বা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এ বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করে থাকেন , তাহলে প্রচার সর্বস্ব রাজনীতি নিয়ে কেন কেউই প্রশ্ন তুলছেনা ? ৩২০ কোম্পানি বাহিনী কি আদৌ রুখতে পারবে হামলার সিরিজ ?


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!