- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১৩, ২০২৪
শুভেন্দুর পোস্টার লাগানো কে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা সন্দেশখালিতে। গ্রেফতার চার

শুভেন্দু অধিকারির ছবি টাঙাতে দিলনা তৃণমূল। তা নিয়ে তুলকালাম। চলল বিক্ষোভ, ধস্তাধস্তি, মারধোর। উত্তপ্ত সন্দেশখালির সরবেড়িয়া ও ধামাখালি রাস্তায় বাগদিপাড়া মোড়। আজ সেখানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারির ছবি সম্বলিত পোস্টার মারতে গিয়ে গ্রামবাসীরা বাধা দেয়। গ্রামবাসীদের দাবি , আজকে সন্দেশখালির এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী শুভেন্দু অধিকারি। তাঁর মদতেই শান্ত সন্দেশখালি ৪ মাস ধরে অশান্ত হয়ে উঠেছে। ব্যবসায় মন্দা। কোথায় কখন উত্তেজনা তৈরি হয় সেই আতঙ্কে সকলে দিন কাটাচ্ছেন। ছেলে মেয়েদের পড়াশুনোর ওপরেও প্রভাব পড়ছে। রাজনৈতিক চাপানউতোরে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে। এর জন্য দায়ী বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারি। তাই শুভেন্দুর ছবি টাঙানো যাবে না।
এই ঘটনায় বাগদিপাড়া মোড়ে বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে সঙ্ঘর্ষ বাধে। অন্যদিকে, রবিবার তৃণমূল কর্মীদের মারধোরের ঘটনায় পুলিশ বিজেপি নেতা উৎপল মাইতি, সুপ্রকাশ মন্ডল সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। কয়েকজন মহিলাকেও আটক করে পুলিশ। গীতা বর নামে বিজেপির এক মহিলা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তার প্রতিবাদে আজ বেড়মজুর কাঠপোল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি সমর্থকরা। সেখানে রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে অশান্তি তৈরির পরিকল্পনা করে বিজেপি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে মুখ খুলছেন মহিলারা। রুখে দাঁড়াচ্ছেন এলাকার মানুষ। সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির মিথ্যাচারের জবাব চাইছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের মহিলারা বুঝে গেছেন তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। ফাঁদে ফেলা হয়েছে মিথ্যা বলে। সাদা কাগজে সই করে নিয়ে তাতে লেখা হয়েছে ধর্ষণ , শ্লীলতাহানির অভিযোগ। তাঁদের নারী জীবনকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। এখন অভিযোগ তুলে নিতে চাইছে অনেক অভিযোগকারিনী। সেইসব মহিলা কেউ বলছেন আমরা এতদিন সাহস পাইনি। এখন দেখছি অনেকেই বিজেপির এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাতে আমরা সাহস পাচ্ছি । এক মহিলা বলছেন, ‘আমরা আর আমাদের দিয়ে করানো মিথ্যা অভিযোগের ওপর করা মিথ্যা মামলা লড়তে চাই না। আমাদের সম্মান ফিরে পেতে চাই।’ এক মহিলা যিনি সন্দেশখালির যে আন্দোলন তাতে সক্রীয় ভাবে শামিল হয়েছিলেন ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না বলে, তিনি অভিযোগ করছেন ‘আমি গিয়েছিলাম ১০০ দিনের কাজের টাকা পাইনি তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে, আমাকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে তাতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয়। এখন আমি সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা পুলিশে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।’ মহিলার বিজেপির এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তাঁকে হুমকি দিচ্ছে বিজেপির লোকেরা। গত কয়েকদিনে সন্দেশখালিতে বিজেপির কোনঠাসা অবস্থা। পরপর কযেকটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি কোন সদুত্তর দিতে পারছে না। স্রেফ তৃণমূল এবং আইপ্যাকের চক্রান্ত বলেই হুমকি দিয়ে চলেছে বিজেপি নেতারা। এভাবে চলতে থাকলে ভোট যত এগিয়ে আসবে না জানি কী ঘটবে এই কেন্দ্রে?
❤ Support Us