- বি। দে । শ
- মার্চ ১, ২০২৪
ঢাকার বহুতলে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৪৬
ঢাকার বেইলি রোডের এক বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মহিলা ও শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১০০ জন আহত। এদের মধ্যে ২২ জনের অবস্থা আঙ্ককাজনক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শুক্রবার সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মেডিকেল কলেজে আহতদের দেখতে যান।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০ টা নাগাদ বেইলি রোডের ওপর ৭ তলা ভবনটিতে আগুন লাগে। প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর দ্রুত ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত দমকল বাহিনী হাজির হয়। আগুন নেভানোর চেষ্টার পাশাপাশি ক্রেনের সাহায্যে ভবনের সাততলা ও ছাদে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের নীচে নামিয়ে নিয়ে আসতে থাকেন আনতে থাকেন দমকলকর্মীরা। তাঁদের অক্লান্ত চেষ্টায় বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৫০ নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়এ যাওয়া হয়।
সাত তলা ওই ভবনের দোতলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে এক রেস্তোরাঁ রয়েছে। তিন তলায় একটা একটা পোশাকের দোকন। এছাড়া ওপরের তলাগুলিতেও খাবারের দোকান রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে দারুণ ভিন হয়। পরিবার নিয়ে অনেকেই রেস্তোরাঁতে খেতে যান। এদিন আগুন লাগার সময়ও দারুণ ভিড় ছিল। ভবনের ওপর থেকে নীচতলা পর্যন্ত সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। সেগুলোতে আগুন ধরে যাওয়ায় মানুষজন সিঁড়ি বেয়ে নামতে পারেননি। ভবনের নিচতলায় একটি কফির দোকান রয়েছে। সেখানে সিলিন্ডার ফেটে প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার ঘটনার তদন্ত করার জন্য দমকল বিভাগ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ঘটনায় নিহতের মধ্যে অধিকাংশই শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন। তাঁদের শরীরে পোড়ার ক্ষত ততটা দেখা যায়নি। আগুনের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই ওপর থেকে নীচে লাফ দেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। অচেতন অবস্থায় ৪৫ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২১ জন মহিলা ও ৪ শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৫ জন মহিলাসহ ৭৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ভবনে কেউ আটকে রয়েছেন কিনা, এখনও তল্লায়শই চালাচ্ছে দমকলবাহিনী।
❤ Support Us