- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- নভেম্বর ১৬, ২০২৩
৭২ ঘণ্টা পার। উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে এখনও আটকে পশ্চিমবঙ্গের ৩ শ্রমিক সহ ৪০ জন
উত্তরকাশীর সেই সুড়ঙ্গে ৭২ ঘণ্টা পরেও আটকে রয়েছেন বাংলার তিনজন সোহো ৪০ জন শ্রমিক। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিক ভালো আছেন। সুড়ঙ্গের মধ্যে খাবার ও জল পাঠানো হয়েছে। নিয়মিত অক্সিজেনও পাঠানো হচ্ছে। তবে তাঁদের বার করে আনতে আরও দু’দিন সময় লাগতে পারে বলে জানাচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী হাইওয়ের উপরে ধসে চাপা পড়া সুড়ঙ্গটির উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করে এসেছেন। কিন্তু কি ভাবে ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় অন্ধকার সুড়ঙ্গে আটকে মানুষ কি ভাবে ভালো থাকে সেই প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে কেন সুড়ঙ্গ থেকে আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা যাচ্ছে না।
উত্তরকাশীর জেলা প্রশাসন আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিকের রাজ্যভিত্তিক একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের তিন জন ছাড়া সব চেয়ে বেশি শ্রমিক রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের, এই সংখ্যাটা ১৫। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশের ৮ জন, ওড়িশার ৫ জন, বিহারের ৪ জন, উত্তরাখণ্ড ও অসমের ৩ জন করে এবং হিমাচল প্রদেশের ১ জন শ্রমিক রয়েছেন।
সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে হুগলির পুরশুড়ার হরিণখালির সৌভিক পাখিরা এবং নিমডাঙির জয়দেব পরামানিক রয়েছেন। সোমবার সকালে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারেন। সোমবার সন্ধ্যায় জয়দেবের মা তপতী পরামানিক এবং সৌভিকের মা লক্ষ্মী পাখিরা জানিয়েছেন, তাঁদের ছেলের ভয়েস রেকর্ড শোনানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, ছেলেরা ভাল আছে। খাবার দেওয়া হচ্ছে ও অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। সোমবার রাতেই তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হতে পারে বলে প্রশাসন জানালেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই খবর লেখা পর্যন্ত একজন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সৌভিক পাখিরা কলকাতার একটি কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেছিলেন। জয়দেব পরামানিক নালিকুলের একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পড়াশোনা করেছেন। মাস দশেক আগে বন্ধুদের থেকে উত্তরাখণ্ডের একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরির খবর পেয়ে তাঁরা সেখানে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এ রাজ্যের আর এক জন কোচবিহারের বাসিন্দাও ওই সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন, তাঁর নাম মনির তালুকদার। অত্যাধুনিক ড্রিল মেশিন ও ৯০০ মিলিমিটারের পাইপ ব্যবহার করে সুড়ঙ্গ থেকে ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
❤ Support Us