- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ৩০, ২০২৪
অভিযোগ , চুরির অপবাদে আশ্রমে ডেকে পাঠিয়ে গণপিটুনি । বারুইপুরে খুন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র । আশ্রমের ‘মাতাজি’র মুখে কুলুপ। তদন্তে পুলিশ।

গরমের ছুটিতে মামাবাড়ি ঘুরতে এসেছিল সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র পবিত্র সর্দার । মামাবাড়ির পাশে রয়েছে একটি আশ্রম। সকালে হাঁটতে বেরিয়ে সেখানে প্রবেশ করে সে । রাতে তাকে ডেকে পাঠানো হয় আশ্রম থেকে। দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় উদ্বিগ্ন বাড়ির লোক খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খুঁজতে খুঁজতে আশ্রম থেকে উদ্ধার হয় কিশোরের নিথর দেহ। পরিবারের অভিযোগ তাকে চুরির অপবাদে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দঃ চব্বিশ পরগণার বারুইপুরে। ঘটনার পর ওই কিশোরের মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ , আশ্রমটিতে অসামাজিক কাজকর্ম হয়। পবিত্র কোনোভাবে তা দেখে ফেলে। তাই আশ্রমের আবাসিকদের রোষের শিকার হতে হয়েছে তাকে। আশ্রমের কেউই সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে মুখ খোলেনি। তাদের অভিযোগের তির মৃত পবিত্রের দিকে। ওই কিশোর আশ্রমে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন।
পবিত্রের মামা জানিয়েছেন, রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পর তিনি জানতে পারেন তাঁর ভাগ্নেকে আশ্রম থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছে । দীর্ঘক্ষণ সে না ফেরায় তিনি বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে তাকে খুঁজতে বেরোন এবং আশ্রমে পবিত্রের হাত পা বাঁধা অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করেন। তাঁর চিৎকার শুনে এলাকার বাসিন্দারা ভিড় করেন আশ্রমে। পবিত্রকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ‘মৃত’ ঘোষণা করে।
এখন প্রশ্ন হল কেন বারবার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠছে? অধ্যাত্মচিন্তার স্থানগুলি কেন কলুষিত হয়ে উঠছে ? সম্প্রতি ‘ডেরা সচ্চা সউদা’র স্বঘোষিত গড ম্যান রাম রহিমের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর এক শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনি জেলবন্দি আছেন। আশির দশকে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ‘ওশো’-কে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়িয়েছিল। কজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে , সেই বিতর্ক বেশিদূর অগ্রসর হয়নি।
❤ Support Us