Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ১৬, ২০২৩

আরব সমুদ্রের ‘বিপর্যয়’-এ বিধ্বস্ত গুজরাট। রাজস্থান- করাচিতেও ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আরব সমুদ্রের ‘বিপর্যয়’-এ  বিধ্বস্ত গুজরাট। রাজস্থান- করাচিতেও ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি

‘বিপর্যয়’-এ বিধ্বস্ত কচ্ছ উপকূল। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত জেলার একাধিক এলাকা। সংবাদ সংস্থার খবর, প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। তাই ৯৪০ গ্রাম এখন বিদ্যুৎ পরিষেবার দফারফা অবস্থা। আঁধারের ভেঙে পড়েছে অত্নত ৫২৪ টি গাছ। রাস্তায় রাস্তায় ডালপালা ও পাতার ছড়াছড়ি। ইতিমধ্যে তা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো পর্যন্ত মৃত্যুর কোনো খবর নেই। তবে, ২২ জন আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মারা গিয়েছে ২৩ টি পশু।যদিও বেসরকারি সূত্রের খবর, ঝড়ে সে রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের ঝাকাঊ বন্দরের কাছে প্রবল গতিতে আছড়ে পরে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। সে সময় গতিবেগ ছিল ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। দিল্লির মৌসম ভবন আগেই সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছিল। তাই বড়ো কোনো বিপত্তি ঘটার আগেই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল। তাই প্রাণহানি বিশেষ ঘটেনি। ৯৯ টি গুজরাটগামী ট্রেন বাতিল করা হয়েছে হয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিম রেলওয়ে। তবে জানা গেছে, ভাবনগরে বৈদ্যুতিক খুঁটি চাপা পরে দুজন মারা গিয়েছেন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। ত্রাণ নিয়েও প্রস্তুত একাধিক সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
আবহবিদেরা জানিয়েছেন, স্থলভাগে প্রবেশের পর ক্রমশ শক্তিক্ষয় হয়েছে ‘বিপর্যয়’-এর। এ মুহুর্তে তার গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিমি। এখন সে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পথে । ক্রমশ এটি পূর্ব ও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রাজস্থানের ওপর অবস্থান করবে। ফলে সে রাজ্যের পশ্চিম ভাগে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা স্থায়ী হবে ১৯ তারিখ পর্যন্ত।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারমের এবং জালোরের বাসিন্দাদের আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাত নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জয়সলমির, বারমের, জালোর এবং যোধপুরে এবং শনিবার উদয়পুর এবং আজমে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তা ও আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ এবং এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের মোকাবিলায় তাঁরা প্রস্তুত। পড়শি দেশ পাকিস্তানের করাচিতেও বিপর্যয়ের অশনি সংকেত প্রবল । সেখানেও বিপদ ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি তুঙ্গে। ৮০ হাজার বাসিন্দাকে ইতিমধ্যে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেছে সিন্ধ প্রশাসন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!