- দে । শ
- জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
জঙ্গি হানার আশঙ্কায় থরো থরো পাক-আফগান ভূখণ্ড। পেশোয়ারে মৃত্যু বেড়ে ৯৫, আহত ২২৫।
পাখতুন এলাকায় কি ঢুকে পড়ল আইএস?

পেশোয়ারের মসজিদে, আত্মঘাতী বোমাহানায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। সর্বশেষ খবর, মারা গেছেন ৯৫, আহত ২২৫।মৃত-আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। পেশয়ারে বরিষ্ঠ পুলিশ সুপার কাশিফ আফতাব বলেছেন, উদ্ধারের কাজ চলছে। আত্মঘাতী বোমাজঙ্গির মাথার খোঁজ মিলেছে ধ্বংসস্তূপে। বিকৃত, রক্তাক্ত অবস্থায়। ৫৫ জন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, চিকিৎসা চলছে। মসজিদটি বহু পুরনো। ইন্দো সরোসিন স্থাপত্যে নির্মিত। একসঙ্গে অনেকে উপাসনা করার মতো প্রশস্ত।
বোমা বিস্ফোরণে মসজিদের ছাদ উড়ে গেছে। ভেতরেও ব্যাপক ধ্বংস চিহ্ন। নিহতদের বড় অংশই পুলিশ কর্মী। তাঁরা মসজিদের দরজায় বাইরে পাহারায় ছিলেন। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও আত্মঘাতী জঙ্গি কিকরে ভেতরে প্রবেশ করল, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, তহরিক-এ-তালিবান-এ পাকিস্তান পেশোয়ার সহ খাইবার পাখতুন প্রদেশে পর পর বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছে, সম্প্রতি। দিন ক্যেক আগে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা টিটিপির ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।
বোমা বিফোরণের কিছুক্ষনের মধ্যেই টিটিপি কাউন্সিলের সদস্য মুকার্রাম খোরসানিদাবি করেছেন, তাঁর দলের সদস্যরা মসজিদে বোমা হানা ঘটিয়েছেন। খোরসানি এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে এখানকার আইএসস জঙ্গিদের যোগাযোগ থাকা অস্বাভাবিক নয়।
আফগানিস্তানে, তালিবান দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আফগান মুলুকে, লাগোয়া পাখতুন অঞ্চলে উপাসনালয়ে, লোকালয়ে, বাজারে জঙ্গিহানার প্রকোপ বেড়ে গেছে। প্রায়ই বোমায় উড়ে যাচ্ছে মানব দেহ। প্রতিবেশি দুই দেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান আতঙ্কে থরো থরো। নিশিদিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বড়ো বড়ো শহর, পার্বত্য এলাকা আর প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চল।
❤ Support Us