- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ২৪, ২০২৩
বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রাখতে পারবেন না রাজ্যপাল, স্পষ্ট নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল রাজ্যপাল আটকে রাখতে পারবেন না। বিধানসভায় যে বিল পাশ হবে, সেই বিল নিয়ে রাজ্যপালের কোনও অসম্মতি থাকলে সেই বিলটি ঝুলিয়ে না রেখে অবিলম্বে পুনর্বিবেচনার জন্য বিলটি রাজ্যপালকে বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে হবে। কোনও অবস্থাতেই রাজ্যপাল বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রাখতে রাখতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের এই সিদ্ধান্ত সু্প্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। বিচারপতিরা ওই রায়ে স্পষ্ট বলেছেন, রাজ্যপাল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। সুতরাং নির্বাচিত সরকারের আইন প্রণয়নের কাজকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে তিনি সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না। সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রকৃত ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতেই থাকবে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ছিলেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
ভারতীয় সংবিধানের ২০০ নম্বর অনুচ্ছেদে এই বিষয়টি নিয়ে যে ধোঁয়াশা ছিল বিচারপতিরা তা কাটিয়ে দিয়েছেন। সংবিধানে বলা ছিল, বিধানসভায় পাশ হয়ে রাজ্যপালের কাছে এলে তাঁর তিনটি বিষয় খোলা থাকে। সেই বিষয় তিনটি হচ্ছে, রাজ্যপাল বিলে সম্মতি প্রকাশ করতে পারবেন, অসম্মতি প্রকাশ করতে পারবেন অথবা বিলটি রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য রেখে দিতে পারবেন। অসম্মতি প্রকাশের ক্ষেত্রে তিনি বিলের যে অংশগুলি পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন মনে করবেন, সেগুলি উল্লেখ করে বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে পারবেন। বিধানসভা বিলটি পরিবর্তন করে বা না করে ফের রাজ্যপালের কাছে পাঠালে তিনি সই করে দিতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু রাজ্যপালের অসম্মতি থাকলে তিনি বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে বাধ্য কি না, সেটা সংবিধানের ২০০ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ছিল না। সম্প্রতি তামিলনাড়ু সরকার বনাম তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের সংঘাতে এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল।
গত ১০ নভেম্বর পঞ্জাব সরকার বনাম পঞ্জাবের রাজ্যপালের মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায় যে, রাজ্যপাল বিলে অসম্মত হতেই পারেন, কিন্তু বিলটি তিনি অসম্মতি প্রকাশ করে বা সম্মতি প্রকাশ স্থগিত রেখে আটকে রাখতে পারবেন না। অবিলম্বে বিলটি ফেরত পাঠাতে হবে। সু্প্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার এই রায় আপলোড করা হয়েছে।
❤ Support Us