- দে । শ
- জুলাই ১৫, ২০২৪
শিশু দত্তক নিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার, গ্রেফতার চক্রের সদস্য

শিশু দত্তক নিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার নিঃসন্তান দম্পতি। খোয়া গেল ৫৬ হাজার টাকা। পূর্বস্থলীর কালেখাঁতলা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দেঘড়ি গ্রামের বাসিন্দা ‘প্রতারিত’ প্রদীপ মাহাতোর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মানু সরকার নামে প্রতারণা চক্রের এক সদস্যকে। মানু নদিয়া জেলার ধুবুলিয়ার বাসিন্দা। মানুকে কালনা মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। মানুকে জেরা করে চক্রের বাকি সদস্যদের জালে তুলতে চাইছে পুলিশ।
দেঘড়ির দম্পতি প্রদীপ মাহাত ও আশা মাহাতর ১৬ বছরের বিবাহিত জীবনে কোনও সন্তান না হওয়ায় শিশু দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর প্রদীপের সঙ্গে যোগাযোগ হয় পশ্চিম বর্ধমানের বুদবুদের সুখডাল গ্রামের বাসিন্দা বিলাস কারকের সঙ্গে। বিলাসই আলাপ করিয়ে দেয় মেমারির রসুলপুরের বাসিন্দা দেবেশ বৈদ্যর সঙ্গে। দেবেশই তাদেরকে সমাজকল্যাণ দপ্তরের মাধ্যমে আইন মেনে শিশু দত্তকের বন্দোবস্ত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই অনুযায়ী প্রসেসিং ফি-সহ বিভিন্ন ফি বাবদ কয়েক দফায় প্রদীপবাবু ৫৬ হাজার টাকা দেন। দেবেশই প্রদীপবাবুদের বলেছিলেন গত মঙ্গলবার বর্ধমানের সমাজকল্যাণ দপ্তরে যেতে। সেখানে হাজির হয়ে দেবেশকে না দেখতে পেয়ে ফোন করেন প্রদীপবাবু। দেবেশ ফোনে জানায়, এক যুবক তাদের কাছে যাবে আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। এক যুবক তারপর এসে প্রদীপবাবু ও তার স্ত্রী অপেক্ষা করতে বলে উধাও হয়ে যায়। এরপর প্রদীপবাবু সমাজকল্যাণ দপ্তরে গিয়ে কথা বলে জানতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর একদিন ফোন করে আরও ৫ হাজার টাকা অনলাইনে পাঠানোর কথা বললে প্রদীপবাবু বুদ্ধি করে বলেন, অনলাইনে পাঠানোর মত টাকা জমা নেই। বাড়ি এসে সরাসরি টাকাটা নিয়ে যেতে। ধুবুলিয়ার মানু সরকার টাকা নিতে এলে তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন প্রদীপবাবু। পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় মানুকে।
❤ Support Us