Advertisement
  • খাস-কলম
  • মার্চ ১০, ২০২৩

নিজের স্কুলে পদার্থ বিদ্যার তালিম দিলেন বিজ্ঞানী রাজীবুল ইসলাম। বললেন, নিজেকে প্রশ্ন করো, নিজেই উত্তর খোঁজো

২০০৩ সালে মাধ্যমিকের শীর্ষারোহী। হার্ভাডের গবেষক আর ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যলয়ের কৃতী অধ্যাপকের বক্তব্য , হাতে কলমে যুক্তি নির্ভর শিক্ষা জরুরি।

আলি আকবর
নিজের স্কুলে পদার্থ বিদ্যার তালিম দিলেন বিজ্ঞানী রাজীবুল ইসলাম। বললেন, নিজেকে প্রশ্ন করো, নিজেই উত্তর খোঁজো

চিত্র : সংবাদ সংস্থা

রাজীবুল ইসলাম। হলদিয়ার চকদ্বীপা হাইস্কুলের প্রাক্তনী। ২০০০ সালে মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিলেন।  বরাবর ভালো ছাত্র। শান্ত। মেহনতি আর অনুসন্ধিৎসু। এখন কানাডার ওয়াটারলু  বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়াণ্টাম  কম্পিউটিং আর  ফিজিক্স অ্যাস্ট্রোনমির স্বনামধন্য অধ্যাপক। গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীদের কাছে বিশ্বজুড়ে পরিচিত তরুণ। সম্প্রতি বাড়িতে এসেছিলেন, নিজের স্কুলে শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা গেল রাজীবুলকে। অনেকক্ষণ হাতে -কলমে ছাত্রদের ফিজিক্স পড়ালেন । রাজীবুলকে দেখতে কী প্রবল উৎসাহ  ছাত্রদের। ভিড় উপচে পড়ল ক্লাসরুমে।  হাজির তাঁর প্রাক্তন শিক্ষকরাও।

মাধ্যমিকের পর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভর্তি হন  রাজীবুল। উচ্চমাধ্যমিকেও নজরকাড়া রেজাল্ট। তারপর যাদবপুরের ছাত্র। যাদবপুর থেকে গবেষণার জন্য চলে যান সোজা হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। মার্কিন বিজ্ঞানীদের অবাক করে দেয় তাঁর গবেষণা। এখান থেকেই কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক পেয়ে গবেষণা ও অধ্যাপনা শুরু। এখন সুপরিচিত বিজ্ঞানী আর কোয়াণ্টাম কম্পিউটিং  আর ফিজিক্স অ্যাস্ট্রোনমির অধ্যাপক। নাড়ীর টানে সুযোগ পেলেই  চলে আসেন জন্মাঞ্চলে ।দিন কয়েক আগে,  চকদ্বীপা হাইস্কুলের  উদ্যোগে আয়োজিত বিজ্ঞান শিক্ষা শিবিরের প্রধান অতিথি ছিলেন রাজীবুল ইসলাম।

ছাত্রদের উদ্দেশে বিনম্র রাজীবুল বলেছেন, যে ছেলে লেখাপড়ায় ভালো, সে কেবল বইপত্র নিয়ে  বসে থাকে না। পাড়ার ইলেকট্রিকের দোকানে  কিংবা লেদে, কিংবা সাইকেলের দোকানেও কাজ করতে পারে । আমাদের সমাজে এরকম ছেলে দরকার। উদ্ভাবনী হতে গেলে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। নিজেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ব্যাখ্যা পেশ করে বলেছেন , এই পদ্ধতিতে শূন্যস্থানের মধ্যে অজানা পরমাণুকে বন্দী করে লেজার রশ্মি  দিয়ে তাকে পরমশূন্য তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা করে ব্যবহার করা হয়। রাজীবুল যখন বলছিলেন, তখন দর্শকাসনে কয়েকশো ছাত্রছাত্রী, বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা। সবাই মন্ত্রমুগ্ধ। প্রাক্তনীকে স্কুলে পেয়ে মোহিত। স্কুলের প্রধান  শিক্ষক মণিশঙ্কর  গিরি বলেছেন, রাজীব ইঞ্জিনিয়ার অথবা সফল চিকিৎসক হতে পারতেন। হলেন  মৌলিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাধক আর খ্যাতিমান অধ্যাপক। তিনি আমাদের স্কুলের, আমাদের দেশের গৌরব। প্রবল ব্যস্ততা  সত্ত্বেও জন্মাঞ্চলকে, নিজের স্কুলকে ভোলেন নি।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!