Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জানুয়ারি ৪, ২০২৪

সন্ত্রাসে, গণহত্যায় নতুন মোড়। গাজায় ইসরাইলি বোমায় হত ১৪ ফিলিস্তিনি।নিউজার্সিতে গুলিতে খুন ইমাম

লেবাননে নিহত হিজবুল্লার ৯ নেতা। মাসাদের তির্যক দৃষ্টিতে রহস্য

বাহার উদ্দিন
সন্ত্রাসে, গণহত্যায় নতুন মোড়। গাজায় ইসরাইলি বোমায় হত ১৪ ফিলিস্তিনি।নিউজার্সিতে গুলিতে খুন ইমাম

ইসরাইলের ফিলিস্তিনি গণহত্যা অব্যাহত। প্রশ্নহীন বর্বরতায় অস্থির পশ্চিম এশিয়া। দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসে বসবাসকারী সালাহ পরিবারের ১৪ সদস্যের দেহ বোমায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত চারপাশের ঘর বাড়ি। বুধবার লেবানন ও তৎসংলগ্ন সীমান্তে ইসরাইলি বোমায় নিহত হয়েছেন হিজবুল্লার ৯ বিশিষ্ট নেতা। ইরানে বিপ্লবীগার্ডের সর্বাধিনায়ক কাসেম সোলেমানির কাছে বোমা বিস্ফোরণে শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।হত্যাকান্ডের সর্বশেষ খবর, বুধবার সকালে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী গভীর রাতে) নিউজার্সিতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ইমামের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর, চিকিৎসকরা তাঁকে মূত বলে ঘোষণা করেন। কারা তাঁকে হত্যা করেছে, পুলিস অনুসন্ধান চালাচ্ছে। খুনের লক্ষ্য এখনো অধরা।

গাজায় এ পর্যন্ত ইসরাইলের ত্রিস্তরীয় হামলায় ২২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি খুন হয়েছেন। আহতের সংখ্যা লক্ষাধিক।ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত।ধ্বংস হাসপাতাল ও ত্রাণ শিবির। বিশ্বজুড়ে নিন্দা সত্ত্বেও তোয়াক্কা নেই তেল আভিভের।ফিলিস্তিন পেরিয়ে সংলগ্ন লেবানন ও উপসাগরের সবচেয়ে শক্তিধর ইরানও হত্যা ও গুপ্তহত্যার নিশানা হয়ে উঠছে।

ইরানের কিরমান শহরে জোড়া বিস্ফোরণের নেপথ্যে কে, হদিস মেলেনি। ৪২ বছরের শিয়ারাষ্ট্রে এত বড়ো হত্যাকান্ডের সম্মুখীন হয়নি। ইসলামি স্টেটের দাবিদার আই এস কিংবা প্রবল শিয়া বিরোধী সুন্নি গোষ্ঠী এই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের শরিক হতে পারে না। পেন্টাগণের দাবি, বিস্ফোরণের পেছনে ইব্রাহিম রাইসির হাত রয়েছে। কিন্তু ইসরাইলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মাসাদ কে নিয়ে পশ্চিম দুনিয়া নীরব। হত্যাকান্ডের পেছনে তাদের হাত থাকতে পারে, অন্য কোনো বড়ো ইঙ্গিতে, এ বিষয়েও নীরব বহুকন্ঠ।আমাদের অনুমান, গাজায় হত্যা আর ধ্বংসে উন্মত্ত ইসরাইল তার নিশানা বাড়িয়ে তুলছে। ব্যস্ত রাখতে চাইছে ইরান আর লেবাননকে।লেবাননের হিজবুল্লাহ লোকবল আর অস্ত্রবলে প্রবল শক্তিশালী।হামাসের সঙ্গে বিরোধ সত্ত্বেও তারা গাজা সঙ্কটে হিজবুল্লাহকে মদত দিচ্ছে। ইরানের অর্থ ও অস্ত্রপুষ্ট ইয়েমেনের হাউথি সন্ত্রাসবাদীদেরও নিশানা এখন ইসরাইল। লোহিত সাগরেও রক্ত, পশ্চিমের বাণিজ্য-যানে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সন্ত্রাসবাদীরা। তার মানে ফিলিস্তিনকে ঘিরে মার্কিন-ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার সঙ্ঘাত বাড়িয়ে আগ্রাসী মনোভাব চওড়া করতে চাইছে তেল আভিভ।

বিশ্বের জনমত বিরুদ্ধ হলেও কর্তার ইচ্ছায় কর্মের পরিধিতে নতুন মোড় অচিন্তনীয় নয়।ইউক্রেন আর ফিলিস্তিন ছাড়িয়ে অস্ত্র ব্যবসা আর সংক্রামক রক্তক্ষয় তৃতীয়, চতুর্থ বলয়কে অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে ধরতে চায়।পরিস্থিতি প্রতিকুল।চিন নীরবতা ভঙ্গ করে বলেছে, লোহিত সাগরের নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।দৃশ্যত জোট নিরপেক্ষ আর অহিংসার বার্তা অক্ষত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ ভারত। দিল্লি হামাসের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব, কিন্তু গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন। নীতি আর প্রীতিতে পশ্চিম এশিয়া তার সবচেয়ে বড়ো সহোদর।গাজাবাসীর দুর্দিনে খুলে দিয়েছে অর্থ সাহায্যের বুলন্দ দরোজা।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!