- প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ১৫, ২০২২
বিশ্বের সামনে নতুন হুমকি। চিনের হাতে মারাত্মক মিসাইল ।
ব্যালেস্টিক মিসাইল বিশ্বের নিরাপত্তার সামনে নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে কয়েক বছর আগেও এগিয়েছিল আমেরিকা। এখন তার সামরিক আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে চিন, উত্তর কোরিয়া, ভারত সহ বহু দেশ । আমেরিকাকে প্রবলতম ঝুঁকির সামনে ফেলে দিয়েছে চিন। একান্ত নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে ডংফেং-৪১ নিউক্লিয়ার ওভারহেড সমৃদ্ধ ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) । এটাই বিশ্বের সবচেয়ে ভংঙ্কর আর সর্বোচ্চ দূর পাল্লার মিসাইল বলে গণ্য করা হচ্ছে । চিনের দাবি মিসাইলটির রেঞ্জ ১৫ হাজার কিলোমিটার । আদতে এর সর্বোচ্চ রেঞ্জ ৮, ৬৯৯ মাইল বা ১৪ হাজার কিলোমিটার। এই ধরনের মিশাইল খুব অল্প সংখ্যক দেশের অস্ত্র ভান্ডারে রয়েছে ।
রাশিয়া একটু এগিয়ে । তার তৈরি ২০৫ টন ওজনের আরএস-২৮ সারমাট আইসিবিএম কে-এর আঘাত করার ক্ষমতাও অতুলনীয়। রুশ সামরিক বাহিনীর যে কোন যুদ্ধে পুরোপুরি ভাবে নির্ভর করে এই ফাইটার বিমানের ওপর । যা যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে । বহু দেশ এরকম যুদ্ধে বিমান তৈরিতে ব্যস্ত । বিশ্বের অস্ত্র বাজারে এই বিমানের চাহিদা ব্যাপক ।
রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আরএস-২৮ এর রেঞ্জ ১৮ হাজার কিলোমিটার। চিনের ডিএফ-৪১ আইসিবিএম এখন অব্দি বিশ্বের সবচেয়ে দূর পাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল হিসাবে গণ্য ছিল । ২০২২ সালে রাশিয়ার আরএস-২৮ আত্মপ্রকাশ করলে চিননের মিসাইলের জায়গা কেড়ে নিতে সক্ষম হবে। আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের এসজিএম-৩০ আইসিবিএম মিসাইলের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে । চিনের ইন্টার কন্টিনেন্টাল মিসাইলটিকেই এখনো বিশ্বের যে কোনো স্থানে পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম বলে ভাবা হচ্ছে ।
বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে আধুনিক দেশগুলির হাতে নিত্যনতুন অস্ত্র আসছে। ক্ষমতা মত্ত শক্তিশালী দেশগুলো মানুষ আর প্রকূতিকে ধ্বংসের মারাত্মক খেলায় মেতে উঠছে । কোথাও প্রতিবাদ নেই প্রতিকার নেই ।ছোটো ছোটো দেশ পরমানু অস্ত্র তৈরির গবেষণায় মনোযোগ দিলেই গেলো গেলো রব তোলে শক্তিধরেরা । তাদের হৈ চৈ যে কতো অসার আর অর্থহীন আড়ম্বর তা কি বলার অপেক্ষা রাখে । নিজে অস্ত্র বানাব আর অন্যকে বাঁধা দেব, এ ও আরেক নগ্ন কসরত ।
❤ Support Us