- বি। দে । শ স | হ | জ | পা | ঠ
- মে ২৩, ২০২৪
ইন্দোনেশিয়ার প্রাচীন গুহায় মানব ইতিহাসের নতুন দিগন্তের উন্মোচন

পূর্ব তিমুরে খুঁজে পাওয়া গেল বেশ কিছু আদিম যুগের প্রাণীর জীবাশ্ম এবং হাড়গোড়। দেশটির উত্তর পূর্বে অবস্থিত একটি গুহা থেকে এগুলি উদ্ধার করেছেন একদল প্রত্নতাত্বিক। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রাপ্ত প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন থেকে তিমুরে মানুষের আবির্ভাবের ইতিহাসের নতুন একটি দিক উন্মোচিত হতে চলেছে।
গুহাটির স্থানীয় নাম ‘লাইলি রক শেল্টার’। উদ্ধারকৃত নমুনা পরীক্ষা করে গবেষকদের ধারণা ৪৪০০০ বছর আগে ওই গুহায় মানুষ বাস করত। তিমর ও তার আশেপাশের এলাকার বেশ কিছু প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন, মাটি, পলি পরীক্ষা করে গবেষকদের এই অনুমান।
অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক প্রত্নতাত্বিক সু ও কনর জানিয়েছেন, ৫০০০০ বছর আগে তিমুর দ্বীপে মানব উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই ধরে নেওয়া যায়, যে আদিম মানব আরও পরে এ দ্বীপে এসেছিলেন।অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ফ্লিন্ডারস বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, আর্ক সেন্টার অফ এক্সলেসেন্স ফর অস্ট্রেলিয়ান বায়োডাইভার্সিটি এন্ড হেরিটেজ-এর অধ্যাপকেরা প্রকৃতি সম্বন্ধীয় জার্নাল ‘নেচার কমিউনিকেশনে’ তাঁদের গবেষণালব্ধ উপলব্ধির কথা জানিয়েছেন।
তিমর দ্বীপের অবস্থান সুলাওয়েসি নামক ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপের দক্ষিনে। ওই দ্বীপে পূর্বে একটি শুকর ছানার গুহাচিত্র আবিষ্কার হয়েছিল, যা দেখে গবেষকরা অনুমান করেছিলেন , এটিই পৃথিবীর প্রাচীনতম গুহাচিত্র। ওই দ্বীপের বাসিন্দা গবেষক বসরন বুরহান ওই গবেষকদলে ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে ডিসকভারি চ্যানেলকে জানিয়েছিলেন, মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে সুলাওয়েসি ওয়ার্টি শূকর শিকার করে আসছে। এর অস্তিত্ব তুষার যুগে । তখন জীবনধারণের জন্য খাদ্য হিসেবে এবং নান্দনিক চিন্তার আকর হিসেবে এই প্রজাতির শুকরের একটা আলাদা আকর্ষণ ছিল।
এই গবেষক দলটি আগে সুলাওয়েসি দ্বীপের অন্য একটি গুহা থেকে আরো একটি গুহাচিত্র উদ্ধার করে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক আধা-মানব শিকারির দল বন্য প্রাণীদের তাড়া করার জন্য বর্শা এবং দড়ির মতো কোনো বস্তু ব্যবহার করছে। ২০২০ সালে প্রকাশিত মানব ইতিহাসের দশটি বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির চিহ্ন হিসেবে এই ছবিটিকে তুলে ধরা হয়েছিল।
পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব হয়েছিল ২ লক্ষ ৩৩ হাজার বছর আগে,পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায়। যদিও তা এখনও গবেষণাসাপেক্ষ বিষয়। যত সময় যাচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে জনসমক্ষে। কিন্তু সত্য হয়ত আরও গভীর। গবেষকদের আরও গভীর থেকে গভীরতর অন্বেষণে যেতে হবে। হয়ত তখন মানব দ্বারা মানুষের অস্তিত্বের খোঁজের যবনিকা পতন হবে।
❤ Support Us