রনজিতেও ছন্দ ধরে রেখেছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ

দারুণ ছন্দে রয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। এমাসের শুরুতে বাংলাদেশ ‘‌এ’‌ দলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন। দেশে ফিরেও ছন্দ ধরে রেখেছেন। চলতি মরশুমে নিজের প্রথম রনজি ম্যাচেই নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেন বাংলার ওই ওপেনার। অভিমন্যু ও সুদীপ ঘরামির দুরন্ত সেঞ্চুরির সুবাদে নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে বন রানের পথে বাংলা। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৩৬। ২১৮ বলে ১৭০ রান করেন অভিমন্যু। ১৭৮ বলে ১০৪ রান করেন সুদীপ।
প্রথম দিনের শেষে নাগাল্যান্ডের রান ছিল ৯ উইকেটে ১৬৬। এদিন এক রানও যোগ করতে পারেনি নাগাল্যান্ড।  দিনের প্রথম ওভারেই চপিসে হোপেংকিউকে (৪) তুলে নিয়ে নাগাল্যান্ডের ইনিংস শেষ করেন প্রদীপ্ত প্রামানিক। প্রথম ইনিংসে তাংর সংগ্রহ ৪৩ রানে ৬ উইকেট। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ইনিংসে এটাই তাঁর জীবনের সেরা বোলিং। এর আগে তাঁর সেরা বোলিং ছিল ৬০ রানে ৪ উইকেট।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আউট হন কৌশিক ঘোষ। তিনি চপিসে হোপেংকিউয়ের বলে এলবিডব্লু আউট হয়ে ফিরে যান। ১০ বলে কৌশিক করেন মাত্র ৪ রান। বাংলার স্কোর তখন ১০। এরপরই অভিমুন্য ঈশ্বরণের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সুদীপ ঘরামি। বাংলার এই জুটি নাগাল্যান্ড বোলারদের উপর ক্রমশ জাঁকিয়ে বসেন। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে দুজনে তোলেন ২২৪ রান। সেঞ্চুরি করার পরপরই চপিসে হোপেংকিউয়ের বলে যোগিন্দারে হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সুদীপ ঘরামি। ১৭৮ বলে তিনি করেন ১০৪ রান।
সুদীপ আউট হওয়ার পর অভিমন্যুর সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অনুষ্টুপ মজুমদার। এদিন ৩০ রান করে আউট হন তিনি। অভিমন্যু ও অনুষ্টুপের জুটিতে ওঠে ৭০ রান। অনুষ্টুপ আউট হওয়ার পরপরই ফিরে যান অভিমন্যু। দুরন্ত ব্যাটিং করে ২১৮ বলে ১৭০ রান করে তিনি জোনাথানের বলে বোল্ড হন। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি  (১৬) এবং শাহবাজ আমেদ (১)।