- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
প্রচারে ডায়মন্ডহারবারেই ফোকাস ! দল চাইছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও জনসংযোগ যাত্রা করুন অভিষেক
তৃণমূলের ভেতরকার দ্বন্দ্ব কি সত্যিই বাড়ছে? এই দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষ কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? এই গুঞ্জন যখন বাড়ছে তখনই শনিবার তৃণমূল সূত্রে জানা গেল, ডায়মন্ড হারবার ছাড়া অন্য কোনও কেন্দ্রে যাবেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের কোনও সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন না। নীতি নির্ধারক কমিটির কোনও কাজে তিনি থাকবেন না। এমন কি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার ছাড়া অন্য কোথাও প্রচারেও অভিষেক যাবেন না।
কেন এই সিদ্ধান্ত? তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া আদায় নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে আন্দোলন করছিলেন সেই আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন। তাই তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন।
শনিবার বিদেশ থেকে ফিরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর পরিবারকে নিয়ে বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন। কলকাতায় ফিরেই তিনি কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, পার্থ ভৌমিক, তাপস রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকের স্থায়িত্ব ছিল সাড়ে চার ঘণ্টা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে এই বৈঠকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এই মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তাঁর কোনও অসন্তোষ নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন বলে ওই সূত্রে জানান হয়েছে। অভিষেকের ক্ষোভের কারণ, সরকারি প্রকল্প মাঝপথে থমকে আছে, ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ের আন্দোলনও মাঝপথে থমকে আছে। তাই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর।
তবে এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ মুখ খোলেননি। তিনি বলেছেন, “আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরে ছিলেন। তিনি ফিরেছেন, বছর শেষের মুখে তাই আমরা দলের নেতার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলাম।”
পার্থ ভৌমিককে এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “কোনও মিটিং ফিটিং হয়নি। আমি বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের প্রধান। তবে দলের, সরকারের উন্নয়নের কথা মানুষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শুনতে চান। আমরা চাই তিনি আবার নব জোয়ার যাত্রার মতো আর একটা যাত্রার আয়োজন করুন। এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নব জোয়ার যাত্রা করেছেন। সেটা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারতেন? তাঁর বয়স হয়েছে, তিনি সরকারের দায়িত্ব সামলান। তিনি আর কত করবেন? তিনি কি ভগবান? তাই আমরা বলছি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার নব জোয়ার যাত্রায় নামুন। আমার এই কথা যদি সংবাদ মাধ্যমে শুনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নামেন সেটা ভালো। তবে তিনি ডায়মন্ড হারবারের বাইরে কোথাও যাবেন না, এসব কথা আমার সামনে হয়নি।”
প্রসঙ্গত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ১০ জন সাংসদকে নিয়ে একই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়াও সুব্রত বক্সী এখন সোমনাথ শ্যাম ও অর্জুন সিংয়ের মধ্যেকার সংঘাত মেটাতে ময়দানে নেমেছেন। এই সব কারণেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবত অসন্তুষ্ট, তাই তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিতে চাইছেন বলে অভিষেক ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর। এখন প্রশ্ন অভিষেক মমতার উপর অসন্তুষ্ট না হলে তবে কি সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়দের উপর অসন্তুষ্ট? না হলে তিনি কেন লোকসভা ভোটের মুখে নিজেকে গুটিয়ে নেবেন?
এই প্রশ্নের কোনও উত্তর পার্থ ভৌমিক দেননি।
তবে এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভাট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল সূত্রে কি শোনা গিয়েছে তাতে আমার উত্তর দেওয়ার ইচ্ছে নেই। তবে সাধারণত দেখা যায় পারিবারিক দলে এই ধরনের দ্বন্দ্ব হয়। এটাই কাম্য।
❤ Support Us