- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ১১, ২০২৩
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম ইডির দফতরে হাজিরায় গেলেন অভিষেকপত্নী রুজিরা

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম ইডির দফতরে হাজিরায় গেলেন অভিষেকপত্নী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সঠিক সময়েই ইডির দফতরে হাজির হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি। রুজিরার গাড়ি সিজিও চত্বরে পৌঁছে যায় ঠিক সকাল ১১ টা বাজতে ৩ মিনিট আগে। গাড়ি থেকে নেমেই রুজির সোজা সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢুকে যান।
গত সপ্তাহেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির সমন যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রীর কাছে। সেই সমনে সাড়া দিয়ে রুজিরা সিজিওতে আসবেন কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যখন জোর জল্পনা শুরু হয়। তবে রুজিরার সিজিও কমপ্লেক্সে আসার বিষয়টি স্পষ্ট হয় যখন বুধবার সকাল থেকেই দেখা যায় সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। চার দিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। নিয়ন্ত্রণ করা হয় গাড়ি চলাচলও। এর পর জানা যায় একটি সাদা ইনোভা গাড়িতে চেপে সাড়ে দশটা নাগাদ রুজির রওনা হয়েছে হরিশ মুখার্জি রোডের শান্তিনিকেতন থেকে। ১১টা বাজতে ৩ মিনিট আগেই তাঁর গাড়ি পৌঁছে যায় সিজিও কমপ্লেক্সে।
এই প্রথম রূযীরকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডি তলব করল। এর আগে তাঁকে ‘কয়লা পাচার মামলা’য় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এই প্রথম নিয়োগ মামলায় রূযীরকে ডেকে পাঠানো হল।
অভিষেক পত্নীকে গত চার মাস আগেই কয়লা পাচার মামলায় ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। দু’টি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন, একটি সংস্থার আর্থিক লেনদেনের খতিয়ান এবং এক হিসাবরক্ষকের বয়ানের ভিত্তিতে রুজিরাকে গত জুনের প্রথম দিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারীরা। সেই পর্বে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রুজিরাকে।
তবে কয়লা পাচার মামলায় তারও আগে বেশ কয়েক বার অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এক বছর আগে ২০২২ সালের জুন মাসে শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে ইডি দফতরে রুজিরার প্রবেশের ছবি সবার স্মরণে আছে। অতীতেও রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেবার অবশ্য রাজধানীতে ইডি দফতরে হাজিরা দেননি রুজিরা। পরিবর্তে তিনি কলকাতার ইডির দফতরে যান তিনি।
ওই মামলাতেই রুজিরার বিদেশে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রুজিরার বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছিল লুক আউট নোটিস। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই নোটিস তুলে নিতে হয় ইডিকে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে লিপস এন্ড বাউন্ডস -এর ডিরেক্টর হিসেবে তিনি কী কাজ করতেন। নিয়োগ দুৰ্নীতির সঙ্গে লিপস এন্ড বাউন্ডস -এর কি সম্পর্ক।
❤ Support Us