- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
অভিষেকের ঘোষণা মতো বিকল্প ব্যবস্থা করে ফেলল তৃণমূল, শনিবার সকালে ধর্মতলা থেকে দিল্লি যাত্রা বাসেই

ট্রেন পাওয়া যায়নি তাতে কি আছে? ৫০টি বসে করে দিল্লিতে রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ের দাবিতে ঘেরাও-ধর্ণা অভিযানে শনিবার রওনা হওয়ার কাজ সেরে ফেলেছে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার থেকে ৩০ জন রাঁধুনি শনিবার সকাল পর্যন্ত নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রান্নার কাজ করেচলেছেন। যারা দিল্লি যাওয়ার জন্য এসেছেন তাদের ভাত, ডাল, পাঁচমিশালি তরকারি, ডিম ও ডিমের ঝোলের খাওয়াবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শনিবার বৃষ্টিতে রান্নার জায়গায় জল জমে সমস্যা হলেও রান্না চলছে। নেতাজি ইনডোরে দিল্লি যাওয়ার জন্য আগত মানুষেরা, যাদের মধ্যে বহু মহিলা আছেন, তাঁরা খেয়ে বাস ধরে দিল্লি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার রাতেই জানিয়েছেন এই বিকিল্প ব্যবস্থার কথা।পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে পাইলট কার এই ৫০টি বাসের সঙ্গে থাকবে। অভিষেক বলেছেন, বাংলার বাইরে বিজেপি শাসিত রাজ্যে তৃণমূল কর্মীদের গায়ে যদি হাত পরে তাহলে তার পরিণতি ভালো হবে না।
প্রসঙ্গত, গোটা ট্রেন ভাড়া চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে । জমা দেওয়া হয়েছিল রেলের ঠিক করে দেওয়া ভাড়া এবং সিকিউরিটি ডিপোজিট। তারপরেও ট্রেন না পেয়ে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই দলের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, শনিবার সকাল ৯টায় ধর্মতলা থেকে একে একে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবে তৃণমূলের বাস। সেই মতো ৫০টি বাস দিল্লি যাচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শেষ মুহুর্তে ট্রেন না পাওয়ায় বাসে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জব কার্ড হোল্ডারদের। দলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, দলের কর্মী এবং জব কার্ড হোল্ডার মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার কর্মী তৃণমূলের দিল্লি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা কর্মীরা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চলে এসেছেন। তাঁদের নিয়ে শনিবার সকালে দিল্লির উদ্দেশে বাস ছাড়বে। জেলাভিত্তিক বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, গত ২৩ সেপ্টেম্বর আইআরসিটিসির মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা ভাড়া এবং ১১ লাখ টাকা সিকিওরিটি ডিপোজিট দিয়ে বিশেষ ট্রেনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। প্যান্ট্রি-সহ ২০টি স্লিপার বগির আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা যায়, পূর্ব রেল এমন কোনও বিশেষ ট্রেন দিচ্ছে না। এর পরেই সন্ধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে তিনি বলেন, “ট্রেন বাতিল করে আমাদের আটকানো যাবে না। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করে নেব। বাংলার বঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বর দিল্লিতে পৌঁছবেই।’’ এই ঘোষণার পরেই বাসের ব্যবস্থা করল তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা ও অন্যান্য আর্থিক দাবি আদায়ে গত জুলাইয়ে দিল্লির কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। সেই মতোই আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর দু’দিনের এই কর্মসূচি। দলীয় সূত্রে খবর, দলের নেতা-কর্মীর পাশাপাশি কাজ করেও টাকা পাননি, এমন মানুষদের নিয়েই দিল্লিতে এই কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল। যে সব জেলার বাসিন্দারা কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন তাঁদের জন্য নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মতো কয়েকটি জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ২ তারিখ গান্ধীজি’র জন্মদিনে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করবে তৃণমূল। ৩ তারিখ যন্তর মন্তর থেকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দফতর পর্যন্ত মিছিল করারও কথা রয়েছে।
❤ Support Us