- দে । শ
- সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিতে অধীর, গুরুত্ব বাড়ল বাংলার প্রদেশ সভাপতির

সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এই তালিকায় প্রথম পাঁচ জন সদস্যের মধ্যে একজনের নাম অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ১৬ জনের এই কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিতে আছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি, অম্বিকা সোনি, অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সলমন খুরশিদ, মধুসূদন মিস্ত্রী, এন উত্তম কুমার রেড্ডি, টি এস সিংদেও, কে জে জর্জ, প্রিতম সিং, মহম্মদ জভেদ, শ্রীমতি ইয়ামি যাজ্ঞিক, পি এল পুনিয়া, ওঙ্কার মারকম এবং কে সি বেনুগোপাল।
ইন্ডিয়া জোটের স্বার্থে এর পরেও কী অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সর্বভাবতীয় কংগ্রেস কমিটির তরফে নির্দেশ দেওয়া হবে বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে ২০২৪ এর লোকসভায় আসন রফা করতে? এটাই এখন বঙ্গ রাজনীতির কোটি টাকার প্রশ্ন।
তবে ৫ সেপ্টেম্বর অধীর রঞ্জন চৌধুরী ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থীকে সমর্থন করে ভোটে যাচ্ছেন। এখানে কংগ্রেসের সমান বিরোধী তৃণমূল ও বিজেপি। ধূপগুড়িতে সভা করে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, “দেশের সবনাশ করছেন মোদি, রাজ্যের সর্বনাশ করছেন দিদি।”
তবে কাকভোরে প্রশান্ত কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ জনপথ রোডে সোনিয়া গান্ধির বাড়িতে তাহলে কী নিয়ে বৈঠক করলেন? এই প্রশ্নও বাংলার কংগ্রেস নেতৃত্বকে ভাবাচ্ছে।
এই ভাবনার মধ্যে কিছু সম্ভাবনা আছে—-
প্রথমত, অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিতে রেখে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কী বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসকে আসন রফা করতে বলবে? অধীরের ঘারে ভড় করেই কী তৃণমূলের সঙ্গে একদিকে আসন সমঝোতা করে বঙ্গ কংগ্রেসের ক্ষোভ প্রশমণে অধীরকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করবে?
দ্বিতীয়ত, অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিতে রেখে কী তৃণমূলকে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব তৃণমূলকে বার্তা দিল যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যতই অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সমালোচনা করুণ বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা করতে গেলে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কাছেই অভিষেকের যেতে হবে?
তৃতীয়ত, অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিতে রেখে বাংলায় তৃণমূলকে প্রচ্ছন্নভাবে এই বার্তাই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব দিল, যে বাংলায় ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ঘোষণা অনুযায়ী তৃণমূল ও বিজেপির সঙ্গে সিপিএম তথা বামেদের সঙ্গে নিয়েই বাংলার কংগ্রেস লড়বে?
তবে এখনও তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেউই কংগ্রেসকে চটাছেন না, তবে তৃণমূলের এই দুই প্রধান কিন্তু অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে গালমন্দ করতে পিছপা হচ্ছেন না। এমন কি অধীর চৌধুরী যবে থেকে রাজনীতি করছেন তখন জন্মাননি এমন তৃণমূলের ছোট,মেজো,সেজো নেতারাও কিন্তু অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে গাল না দিয়ে দিনে এক চুমুক জল খান না। এখন প্রশ্ন তাঁরা অর্থাৎ তৃণমূল করবে কী?
তবে রাজনীতি হচ্ছে সম্ভাবনার খেলা, তাই এই সবকটি সম্ভাবনা হ্যাঁ যেমন হতে পারে, তেমন নাও হতে পারে।
হ্যাঁ হলে, অর্থাৎ রাজ্যে তৃণমূলের হাত কংগ্রেসকে ধরতে হলে এই রাজ্যে কংগ্রেসের সাইনবোর্ড হওয়া নিশ্চিত।
আর যদি না হয়, তাহলে এই রাজ্যে সম্ভবত কংগ্রেস তাদের অস্তিত্ব গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় আরও দৃঢ় করতে যে পারবে না তা কে বলতে পারে?
❤ Support Us