Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • নভেম্বর ২৮, ২০২৩

ওডিশা কাঁটায় বিদ্ধ হয়ে এএফসি কাপের পরের রাউন্ডের স্বপ্ন শেষ মোহনবাগানের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ওডিশা কাঁটায় বিদ্ধ হয়ে এএফসি কাপের পরের রাউন্ডের স্বপ্ন শেষ মোহনবাগানের

প্রথম পর্বের ম্যাচে ওডিশা এফসি–কে ৪ গোল দিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। সেই ওডিশা কাঁটায় বিদ্ধ হয়ে এএফসি কাপের পরের পর্বে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ সবুজমেরুণ ব্রিগেডের। জুয়ান ফেরান্দোর দল বিধ্বস্ত হল ৫–২ ব্যবধানে। মোহনবাগানের স্বপ্নে পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন সবুজমেরুণেরই প্রাক্তন ফুটবলার রয় কৃষ্ণা। একটি গোল করে ও দুটি গোল করিয়ে তিনিই ওডিশা এফসি–র জয়ের মূল নায়ক। তাঁকে উপেক্ষা করার জবাব দিয়ে গেলেন ফিজির এই তারকা ফুটবলার।
সোমবার গ্রুপের দুটি ম্যাচ ছিল। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল মালদ্বীপের মাজিয়া এফসি–র বিরুদ্ধে। আর যুবভারতীতে মোহনবাগান মুখোমুখি হয়েছিল ওডিশা এফসি–র। পিছিয়ে পড়েও মাজিয়ার বিরুদ্ধে ২–১ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় বসুন্ধরা। এতেই চাপে পড়ে যায় মোহনবাগান। পরের রাউন্ডে যেতে গেলে ওডিশার বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না মোহনবাগানের সামনে। কিন্তু জুয়ান ফেরান্দোর দল নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ।
চোটের জন্য আনোয়ার আলি, আশিক কুরুনিয়ান আগেই ছিটকে গেছেন। চোটের তালিকায় নতুন সংযোজন মনবীর সিং ও দিমিত্রি পেত্রাতোস। প্রথম একাদশের ৪ ফুটবলার না থাকায় পিছিয়ে থেকে শুরু করতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। পেত্রাতোসের অভাব পূরণ করতে ব্যর্থ জেসন কামিন্স ও আর্মান্দো সাদিকু। প্রথম মিনিটেই কামিন্স সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। তবে কামিন্স ও সাদিকুর ব্যর্থতা পুশিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তুলে নেন হুগো বুমোস।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে বুমোসের গোলেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। আশিষ রাইয়ের সেন্টার বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বুমোসের পায়ে বল তুলে দেন জেরি। ডানপায়ের জোরালে শটে গোল করেন বুমোস। ২৯ মিনিটে আশিষ রাইয়ের ভুল ক্লিয়ারেন্স থেকে সমতা ফেরান রয় কৃষ্ণা। মিনিট তিনেক পর ওডিশা এফসি–কে এগিয়ে দেন দিয়েগো মৌরিসিও। এরপর খেলা থেকে হারিয়ে যায় মোহনবাগান। সেই সুযোগে ৪১ মিনিটে ওডিশার হয়ে ব্যবধান বানান সাকামোতো সাই।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ওডিশা। অন্য দিকে ছন্দ ফেরানোর জন্য ম্যাচের ৫৭ মিনিটে আর্মান্দো সাদিকু ও গ্লেনের পরিবর্তে কিয়ান নাসিরি ও অনিরুদ্ধ থাপাকে নামান জুয়ান ফেরান্দো। এই দুই ফুটবলার মাঠে নামার পর মোহনবাগান কিছুটা ছন্দ ফিরে পায়। ৬৩ মিনিটে বুমোসের সেন্টার থেকে ব্যবধান কমান কিয়ান নাসিরি। মোহনবাগানের সামনে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল। ৬৭ মিনিটে কিয়ানের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁপায়ে শট নিয়েছিলেন সাহাল। বল বার ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। ইনজুরি সময়ে র‌য় কৃষ্ণার পাস থেকে ৪–২ করেন অনিকেত যাদব। ম্যাচের একেবারে অন্তিম লগ্নে ৫–২ করেন ইশাক। শেষ ম্যাচে মোহনবাগান খেলবে মাজিয়া এফসি–র বিরুদ্ধে। জিতলেও পরের রাউন্ডে যেতে পারবে না জুয়ান ফেরান্দোর দল।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!