- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- অক্টোবর ৯, ২০২৩
রাজ্যপালের সৌজন্যের পাল্টা সৌজন্য দেখিয়ে, রাজ্যপালকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়ে ধরনা তুলে নিলেন অভিষেক

বাংলার সংস্কৃতি, সৌজন্য বজায় রেখে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বসের দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে ভরসা রেখে তৃণমূল কংগ্রেস রাজভবনের উত্তর গেট থেকে পঞ্চমদিনে ধরনা তুলে নিল। ২০ মিনিট রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে আশ্বাস পেয়েছেন তার ভিত্তিতেই তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে ধরনা তুলে নিলেন। অভিষেক রাজ্যপালকে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে দু’সপ্তাহের মধ্যে সুরাহার সাবাশ চেয়েছিলেন। অভিষেকের কথায় রাজ্যপাল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বড়াল আশ্বাস দিয়েছেন বলে অভিষেক জানান। তিনি বলেন, বঞ্চিতরা জব কার্ড নিয়ে রাজ্যপালের চরণে অর্পণ করে বলেছেন, দু’বছর আমাদের টাকা আটকে রাখা হয়েছে, আমাদের পরিবার চলছে না। রাজ্যপাল এসব শুনে কোনও উত্তর দিতে পারেননি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তার মধ্যে বাংলার ২১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা না দিলে পয়লা নভেম্বর থেকে আবার কর্মসূচি চলবে।
সোমবার সন্ধ্যায় অভিষেক ধরনা মঞ্চ থেকে বলেন, “রাজভবন থেকে আমাদের বলা হয়েছিল কোনও মোবাইল, ক্যামেরা, ফটোগ্রাফার না নিয়ে দেখা করতে আসতে হবে। আমরা সেটাই করেছি। এমন কি আমাদের যে দিল্লি থেকে চুলের মুঠি ধরে বের করে দেওয়া হয়েছে সেটাও রাজ্যপালকে বলিনি। আমি রাজ্যপালকে বলেছি, ২১ লক্ষ ৭৫ যাহার মানুষ কাজ করেছেন। ভারতের কোন আইনে এই টাকা আটকে রাখা হয়েছে? এই নিয়ে আপনি কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানান। আমি রাজ্যপালকে এই জন্য দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম। আপনারা হয়তো জানেন না, রাজ্যপাল আমাদের বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবেন। আর এর পরেই শুনলাম রাজ্যপাল দিল্লি রওনা হয়ে গেছেন। আমরা যখন ২ বছর অপেক্ষা করেছি, তাই আরও ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করব। দু’সপ্তাহ হচ্ছে ২৩ অক্টোবর, সেদিন নবমী। তার পর দশমী, বিসর্জন, লক্ষ্মী পুজো। তাই আমি রাজ্যপালকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। তার মধ্যে বাংলার বকেয়া টাকা না আসলে আবার ১ নভেম্বর থেকে আমাদের লাগাতার কর্মসূচি শুরু হবে, যতদিন না বাংলার বকেয়া দিল্লি পাঠায়।”
এদিন এই কথা বলার পর অভিষেক বলেন, “রাজ্যপাল যে সৌজন্য দেখিয়েছেন আমাদের দলনেত্রীর কাছে সেটা জানবার পর তিনি সৌজন্য দেখিয়ে ধরনা তুলে নিতে বলেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন-এর সঙ্গে আমি কথা বলি। আমি ধরনা তুলতে চাইছিলাম না। কিন্তু দলনেত্রী ও দলের প্রবীণ নেতৃত্ব আমায় বলেন, রাজ্যপাল সৌজন্য দেখিয়েছেন , তাই আমরাও সৌজন্য দেখাব।”
এবার দেখার অভিষেক সৌজন্য দেখিয়ে, রাজ্যপালের সৌজন্যের ভরসায় ধরনা তুলে নিলেও কেন্দ্রের শাসক দল রাজ্যপালের কাছে বাংলার বকেয়া সংক্রাক্ত বক্তব্য শুনে বাংলার ২১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষের কাজের টাকা শেষ পর্যন্ত দেয় কি না। আর সেটা যদি কেন্দ্র না করে তাহলে অভিষেক শেষ পর্যন্ত কী করেন সেটাই এবার দেখার।
❤ Support Us