- দে । শ
- মে ১৫, ২০২৩
“যারা কাজ না করে ধর্ণা দিচ্ছে, তাদের বেতন কেটে নেওয়া হোক”, অখিল গিরির এই মন্তব্যে ফের বিতর্ক

গত রোববার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে জেলাশাসক অফিসের সভাঘরে আয়োজিত সব থেকে সভা থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অখিল গিরি। পাশাপাশি তিনি স্বাস্থ্য ও ভূমি রাজস্ব দফতরের বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছেন। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া,কারামন্ত্রী অখিল গিরি, মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান সৌমেন মহাপাত্র, বিধায়ক তরুণ মাইতি-সহ বিশিষ্ট সরকারি পদাধিকারীরা।
এই সভা থেকেই ডিএ আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে অখিল গিরি ডিএ-র দাবিতে যারা ধর্নায় বসেছেন তাঁরা ডিউটি করছেন না বলে অভিযোগ করে তাঁদের বেতন না দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, যাঁরা অন্তর্ঘাত করছেন তাঁদের দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। মন্ত্রীর বক্তব্যের পাল্টা ডিএ আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ডিএ-র দাবি তাঁদের ন্যায্য দাবি। সেটা দিয়ে দিলেই ধর্নায় বসার আর প্রয়োজন থাকে না।
রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ওই সভা থেকে রবিবার অখিল গিরি বলেন, “যাঁরা ধর্নায় বসেছেন তাঁরা তো নিজেদের ডিউটি করছে না। আমি বলছি তাঁরা যেন বেতন না পান। মুখ্যমন্ত্রী নিজে দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে ভূমি দফতর এবং ফার্মেসির দফতরের কর্মচারীদের কাজে তিনি অখুশি। আমি নিজেই তিন-চারটি বিএলআরও-র নাম দিয়ে এসেছি, তাঁদের সরানো জন্য বলে এসেছি। স্বর্গে গেলেও তো ঢেঁকি ধান ভাঙে।পুলিশের এক আধিকারিক গিয়েছিল। সেখানেও কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে। টাকা না দিলে কেউ কাজ করছে না। সরকারি হাসপাতালে রাতে আমি দেখেছি, করোও একটা ওষুধ লাগবে সেই ওষুধ হাসপাতালে রয়েছে তবু দিচ্ছে না। বাইরে থেকে কিনে আনতে বলছে। সরকার তাহলে যে ওষুধটা দিল, তাহলে সেটার কী হল? এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।”
ডিএ আন্দোলনকারীদের বিষয়ে অখিল গিরি বলেছেন, “অফিস করবে না, দিনের পর দিন কামাই করবে। আর ডিএ, বেতন নিয়ে নেবে? যাঁরা অফিস করছেন না তাঁদের বেতন কেটে নেওয়া হোক। অফিস করো, কাজ করো, ডিএ, বেতন নাও। দিনের পর দিন অফিস কামাই করে ধর্নায় বসে আন্দোলন করবে, দায়িত্ব পালন না করে, অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে সেটা হবে না।”
এদিকে অখিল গিরির এই বেতন কেটে নেওয়া হুমকির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এ নিয়ে ডিএ আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তারা ন্যায্য দাবিতেই ১০৯ দিন ধরে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, সরকার কেন তাঁদের দাবি পূরণ করছেন না? এ ব্যাপারে ডিএ আন্দোলনকারী বলেছেন, “অখিল গিরির এই মন্তব্য ঠিক নয়। উনি সরকারকে বলুক সরকার আমাদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিয়ে দিতে। তাহলে আমরা আর আন্দোলনে বসে থাকব না। আর বেতন কাটার কোন থাকবে না।” আন্দোলনকারীদের দাবি, “আন্দোলনকারীরা নিজেদের ব্যক্তিগত ছুটি নিয়ে ধর্না দিচ্ছেন। সঞ্চিত ছুটি থেকে ছুটি নেওয়ার অধিকার অখিল গিরি কেড়ে নিতে পারেন কী? আমরা মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি পারলে আপনি বেতন কেটে দেখান।”
❤ Support Us