- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ৬, ২০২৪
দেবতার পূজায় দরিদ্যের বঞ্চনাই কাল হল বিজেপির। কর্মসংস্থানেই পাখির চোখ বিরোধীদের, মন্তব্য অখিলেশের

সকাল থেকেই দিল্লির যাদব আবাসে বাড়ছে নেতাদের ভিড়।প্রথমেই দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও ব্রায়েন। জনরায়ে দেশের তৃতীয় বৃহত শক্তির রূপকার অখিলেশের সঙ্গে বৈঠক চলে নির্বাচনে জয়ী চতুর্থ দল তৃণমূল কংগ্রেসর দুই শীর্ষ স্থানীয় নেতার।
অখিলেশ যাদবের দিল্লি আবাস থেকে অভিষেক এবং ডেরেক বেড়িয়ে যাওয়ার পর, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন আপ বিধায়ক রাঘব চাড্ডা। পরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের বাড়িতে যান সঞ্জয় রাউত। তারপরেও বিরোধী গোষ্ঠীর বহু ছোটো বড়ো নেতাকে দেখা গেল সমাজবাদী পার্টির প্রধান আর অভিষেকের দিল্লি আবাসে। মিটিং ফেরতা সবাই বলেছেন এই সাক্ষাত শুধুই সৌজন্যের। যদিও দিল্লি দরবারে গুঞ্জন বিরোধী জোটের নতুন সমীকরণকে পোক্ত করতেই চলছে দফায় দফায় চলছে এই বৈঠক।
গতকালই জোট বৈঠক শেষে, মুখ্য আহ্বায়ক, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সরকার গঠন নয়, শক্তিশালী বিরোধী শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনেই আগ্রহী ‘ইন্ডিয়া ‘। এবিষয়ে ঐক্যমতে শরিকরাও। দেশের মানুষের প্রাপ্য আদায়ে তাঁরা এক জোট হয়েই এনডিএর বিরুদ্ধে লড়াই করবে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই বার্তায় স্পষ্ট করলেন, প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে তৃতীয় বৃহত শক্তির প্রধান অখিলেশ যাদব। শুরুতেই, তিনি বলেন, দেশের নতুন প্রজন্মের কর্মসংস্থানের প্রশ্নে, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সল্প সময়ের অগ্নিবীর নিয়োগের বিরোধিতা করবে জোট। কেন্দ্রের নতুন সরকারকে অবিলম্বে তা রদ করে, পূর্ণ সময়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া লাগু করতে হবে। ইতিমধ্যেই এনডিএ জোট বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে একই দাবি পেশ করেছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। ফলে নতুন সরকার গঠনের আগেই, ঘরে বাইরে চাপ বাড়লো দেশের ১৫তম প্রধানমন্ত্রীর।
#WATCH | Delhi: Samajwadi Party (SP) chief Akhilesh Yadav says, “I think Agniveer system should be scrapped immediately. Government should admit that it made a mistake, that it should not have introduced Agniveer system…” pic.twitter.com/r6pwW4T9d6
— ANI (@ANI) June 6, 2024
আজ নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অখিলেশ যাদব বলেন, দেবতার পুজো করতে গিয়ে দরিদ্রদের পথে বসিয়েছে বিজেপি। ভোট বাক্সে প্রভাব পড়েছে তারই। লোকসভা নির্বাচনের তিনমাস আগেই অসমাপ্ত রামমন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু দেশের ভোটে, এমনকি খোদ অযোধ্যাতেও গেরুয়া শিবিরের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাধারণ মানুষ। অযোধ্যা লোকসভার অধীন ফৈজাবাদেও পরাজিত হয়েছে বিজেপি। কেন রাম মন্দির ইস্যুতে সাফল্য পেল না বিজেপি, সে নিয়ে প্রকাশ্যে এখনো কিছু বলেনি মোদি বা শাহ। দলের তরফেও বিষয়টা নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই। উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ৩৭ আসনে বিপুল জনাদেশ পাওয়া অখিলেশ যাদব, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘ অযোধ্যায় রাম মন্দির করার জন্য বহু মানুষকে উৎখাত করেছে বিজেপি। জমি নেওয়ার ক্ষেত্রেও হয়েছে বেনিয়ম, মানুষ তাঁর ন্যায্য প্রাপ্য পাননি। ১০ দশক ধরে যাঁদের সেখানে বাস, তারাও বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। সেই ক্ষোভই প্রতিফলিত হয়েছে ভোট বাক্সে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাম ইস্যুই বুমেরাং হয়েছে বিজেপির জন্য, উত্তরপ্রদেশে আশাতীত জনসমর্থন পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি এবং ইন্ডিয়া জোট। পাশাপাশি তফসিলি জাতি, জনজাতি, দলিত এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্তদের উন্নতির প্রতিশ্রুতিও বিরোধী জোটের ভোটসাফল্যের অন্যতম হাতিয়ার।
সাংবাদিক বৈঠকের শেষ লগ্নে, এক ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করেছেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান। কেন্দ্রে কারা শপথ নেবে, তা জানতে চাওয়া হলে, অখিলেশ বলেন, ‘ যাদের কাছে সংখ্যা আছে, তারাই শপথ নেবে, তার পরে সেই সংখ্যা বদলে যাবে। তখন আবার অন্য কেউ শপথ নেবে। শপথ নেওয়া তো চলতেই থাকবে।’
❤ Support Us