- দে । শ
- নভেম্বর ২১, ২০২৩
স্বচ্ছতা আর দক্ষতার আরো এক স্বীকৃতি। ক্ষুদ্র-শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব আলাপনকে। উজ্জীবিত বাংলার শিল্প মহল
বাংলার সামাজিক ইতিহাসের নির্মাণ আর বিনির্মাণে, আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের প্রশ্নহীন দক্ষতার প্রাসঙ্গিকতা আরো বাড়ল।সম্ভাবনাময় ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পনিগমের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্বে নিয়ে আসা হল পূর্বতন মুখ্য সচিবকে।গতকাল তাঁকে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার।আজই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আরো আরো সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অভিজ্ঞ আর বহুমাত্রিক দরদীয়াকে। স্বাধীনতার পর আর কোনো অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিবকে এরকম কর্মময়, কর্মযোগে সর্বদা প্রাসঙ্গিক, অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে থাকবার নজির নজরে পড়ে না । তাঁর স্বচ্ছতা, তাঁর যুক্তিময়তা, তাঁর ইতিহাস পাঠের ধারাবাহিকতা কেবল ব্যতিক্রম নয়, উজ্জ্বলতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রেসিডেন্সি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তণীর সাংগঠনিক উদ্যম নিঃসন্দেহে তারুণ্যের দ্যুতিময়তা আর প্রাণ চাঞ্চল্যের দিকচিহ্ন। লেখাপড়া বিস্তর, সমাজ বিজ্ঞানে আগ্রহ তাঁর নিবিড়। বলা আর লেখার ভঙ্গিতে প্রবল আত্মবিশ্বাস। বালক বয়সে ইচ্ছে ছিল সংবাদপত্রে কলম লিখবেন, খুঁজবেন জাতির আত্মপরিচয়ের ইতিহাস। ঘটনাচক্রে, সংবাদপত্রে কর্মজীবনের শুরু। ভারতের রাজনীতিতে তখন এক জটিল সন্ধিলগ্ন। দেহরক্ষীদের গুলিতে লৌহমনবী ইন্দিরার বাতিঘরে হঠাৎ অন্ধকার। দেশ পরিচালনার প্রত্যক্ষ অংশীদার হতে হল রাজীব গান্ধীকে। দিল্লি কম্পমান, শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দেশ কলঙ্কিত। পূর্ব ভারতে, বিশেষ করে অসমে চেপে বসল উগ্রপন্থীরা। ইন্দিরা-উত্তর অসমের প্ৰথম নির্বাচনে সরাসরি যোগ দেয় আসু থেকে রূপান্তরিত, নব উত্থিত অগপ— অসম গণপরিষদ।অসম চুক্তির প্রতিবাদে ভোটের ময়দানে নামল ব্যারিস্টার গোলাম ওসমানির নেতৃত্বাধীন ইউএমএফ। এলোমেলো পরিস্থিতি। এরকম প্রেক্ষাপটে, অর্পিত কাজ দুহাতে সামাল দিয়ে অসমে ঘুরে বেড়ালেন সংশয়হীন, দুঃসাহসী আর অল্পবয়স্ক সাংবাদিক আলাপন বন্দোপাধ্যায়। তাঁর পাঠানো সংবাদ, তাঁর বিশ্লেষণধর্মী পর্যালোচনা, নজর কাড়ল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আলাপনের দূরদৃষ্টি খবর জোগাল যে ক্ষমতায় আসছে অগপ।অবশ্যম্ভাবী মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল মহন্ত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভূগুফুকন।বিরোধী আসনে বসতে হবে কংগ্রেসের কৌশলপ্রিয় হিতেশ্বর শইকিয়াকে।
আলাপনের পরের ইতিহাসও একইভাবে উজ্জ্বলতর। আইএস পরীক্ষায় বসে সূচিত হল তাঁর অন্যরকম ব্যক্তিত্বময়তা। দ্রুত উত্তরণের আরম্ভ। যা সংযত, দৃঢ় প্রত্যয়ী এবং সততা আর দক্ষতায় প্রাণবন্ত। আলাপনকে যোগ্য মর্যাদা দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর কর্মমুখর চিত্তের বিত্তকে আরো বেশি প্রয়োগ করলেন জনমুখী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যমন্ত্রীর সর্বশেষ বিদেশ সফরের সঙ্গী হতে হয়েছিল আলাপনকে। বাংলায় শিল্পগড়ার সম্ভাবনাকে যে ভাষায়, যে যুক্তিতে, যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বিদেশি কূটনীতিক ও উদ্যোগীদের সামনে পেশ করেছেন স্নেহপ্রবণ মুখ্যমন্ত্রীর যোগ্য সহযোগী, এও আরেক সৃজনশীল ইতিহাস।আলাপনের বিনয়ে, তাঁর স্নিগ্ধ বিকাশে বাংলার শিল্পমহল উজ্জীবিত। তাঁদের গঠনশীল বিশ্বাস, ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ণ নিগমের উন্নয়ণ আর ব্যক্তিপ্রতিভার ব্যবহারিক নেতৃত্বের মধ্যে যে সংযোগ সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হল, সে পরিসরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ অবশ্যই বাড়বে। বেঙ্গল মিনস বিজনেস—বাংলা মানেই ব্যবসা— বাক্যটির ধ্বনি প্রতিধ্বনি বেজে উঠবে ‘জয় বাংলা’ কলরবে।
❤ Support Us