- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- আগস্ট ২৫, ২০২৩
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভের কারাবাস, নির্দেশ আলিপুর আদালতের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। জেলে গিয়ে পুলিশ সৌরভকে জেরা করতে পারবে। শুক্রবার সৌরভকে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদার বলেন, ‘‘পিক অ্যান্ড চুজ় করে ছাত্রকে মারা হয়েছে।’’ এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন সৌরভের আইনজীবী।
এদিন আলিপুর আদালতে সরকারি কৌঁসুলি জানান, ছাত্রের দেহে গামছা জড়ানো ছিল, সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই গামছায় রক্তের দাগ রয়েছে। পুলিশের দাবি, ‘জেইউএমএইচ’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছিলেন সৌরভরা। হস্টেলে সৌরভ থাকেন কিনা, সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে কী বলা হবে, সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। পরে ওই গ্রুপটি এক সময় ডিলিট করে দেওয়া হয়। এই নিয়ে বিস্তারিত জানতে সৌরভের সঙ্গে এক ধৃতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। সেই সূত্রে দু’টি মোবাইলের হদিস পান তদন্তকারীরা। সেই ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার আলিপুর আদালতে সৌরভের আইনজীবীর সঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবীর তীব্র সওয়াল পাল্টা সওয়াল হয়। সৌরভের আইনজীবী জানান, তদন্তে সৌরভ সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি। যদিও পুলিশ দাবি করেছে, এই মামলায় অনেক অগ্রগতি হচ্ছে। দাগী বন্দিদের সঙ্গে যাতে জেলে সৌরভকে না রাখা হয়, সেই আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। এই প্রসঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, এই নিয়ে যা নিয়ম রয়েছে, তা মেনে চলা উচিত। সৌরভের আইনজীবী বলেন, ‘‘পিক অ্যান্ড চুজ করা হচ্ছে।’’ প্রত্যুত্তরে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘পিক অ্যান্ড চুজ করে দল বেঁধে মারা হয়েছে।’’ পাল্টা সৌরভের আইনজীবী বলেন, ‘‘এটা এখনই কী করে বলছেন!’’
শুক্রবার আদালতে প্রবেশের সময় সৌরভ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি। যাদবপুরে কি গাঁজার কারবার হয়? সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের মুখোমুখি হন সৌরভ। সৌরভ কিন্তু কোনও জবাব দেননি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে প্রথম বর্ষের এক ছাত্র নীচে পড়ে যান বলে অভিযোগ। পরের দিন ভোরে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যু হয় যাদবপু কেপিসি হাসপাতালে। র্যাগিংয়ের জেরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। এই মর্মে যাদবপুর থানায় মৃতের পরিবারের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম জেল হল যাদবপুরের প্রাক্তনী ও যাদবপুর মেন হস্টেলের আবাসিক তথা “হস্টেল বাবা” সৌরভ চৌধুরীর।
❤ Support Us